পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য ও রসতত্ত্ব \9ని ২, “বিভাবান্ধুভাবব্যভিচারিসংযোগাদ রসনিম্পত্তিঃ” ভরত : নাট্যশাস্ত্র ভরতের নাট্যশাস্ত্রের অনেক প্রাচীন ব্যাখ্যাত ছিলেন।’ আজ শুধু অভিনবগুপ্তাচার্যের অভিনবভারতী’ই বর্তমান । ‘বিভাবাকুভাবব্যভিচারিসংযোগাদ রসনিষ্পত্তি:—এইটি ভরতাচার্যের রসসুত্র। বিভিন্ন ভাৰ্য্যকার বিভিন্নভাবে ইহার ব্যাখ্যা করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। র্তাহীদের মধ্যে চারিজনের মত সাহিত্যমীমাংসকগণ কর্তৃক বিশেষভাবে আলোচিত হইয়াছে। লোল্লট, শঙ্কক, ভট্টনায়ক এবং অভিনবগুপ্ত—এই চারিজনই ভারতীয় রসস্থত্রের প্রধান ভাষ্যকার । আমরা যথাক্রমে র্তাহীদেরই মত আলোচনা করিব । মম্মটাচার্যও তাহার ‘কাব্যপ্রকাশে এই ক্রমই অমুসরণ করিয়াছেন। ভারতীয় রসস্থত্রের বিভিন্ন ভাষা পর্যালোচনার পূর্বে আমাদের কয়েকটি সাধারণ বিষয় লক্ষ্য করা উচিত। প্রথমত, উপরি-উদ্ধৃত রসস্থত্রে কেবলমাত্র বিভাব, অমুভাব এবং সঞ্চারিভাব—যথাক্রমে এই তিনটি পদার্থেরই উল্লেখ আছে , স্থায়িভাবের কোনও উল্লেখ মহর্ষি করেন নাই। দ্বিতীয়ত, ‘সংযোগ’ শব্দটির অর্থ মহর্ষির কিরূপ অভিপ্রেত ছিল তাহা অতিশয় সন্দিগ্ধ। তৃতীয়ত, “নিম্পত্তি’-শব্দের অর্থও স্পষ্ট করিয়া মহর্ষি নির্দেশ করেন নাই । ভরতাচার্যের রসস্থত্রের ব্যাখ্যানভেদের এই তিনটিই মুখ্য কারণ । ভট্টলোল্লট, শঙ্কুক, ভটনায়ক, অভিনবগুপ্ত, প্রত্যেকেই বিভিন্ন উপায়ে সন্দিগ্ধ স্থলের ব্যাখ্যা করিয়া গিয়াছেন। স্বতরাং মতভেদ অবশ্যম্ভাবী। আমরা প্রথমত ভট্টলোল্লটের মতেরই পর্যালোচনা করিব । ৩. ভট্টলোপ্লট : উৎপত্তিবাদ ভট্টলোল্লট বলেন : ‘কাব্য’ বা ‘নাট্য হইতে যে ‘রস’বোধ হয়, উহা পাঠক বা প্রেক্ষক সমাজের পক্ষে গৌণ। পাঠক অথবা প্রেক্ষক, সাধারণভাবে ১. ব্যাখ্যাতারে। ভারতীয়ে লোল্পটোদ্ভটশঙ্কুকাঃ । ভট্টাভিনবগুপ্তশ্চ শ্ৰীমান কীর্তিধরোহপরঃ ”—সঙ্গীতরত্নাকর