পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& সাহিত্য-মীমাংসা প্রাচুর্ভাব হইয়াছিল—যাহাকে সাহিত্য-মীমাংসায় পারিভাষিক শৃঙ্গার’শব্দের দ্বারা অভিহিত করা হয়। উহার পূর্বে কোনও অস্তিত্ব ছিল না। শকুন্তলাই ঐ রতিরূপ স্থায়িভাবের আলম্বনবিভাব, উহার 'উৎপত্তি’র প্রতি কারণ। অতএব, ‘রস’ অথবা স্থায়িভাবের সহিত বিভাবের সম্বন্ধ উৎপাদ্য-উৎপাদকভাব। কিন্তু মহারাজ দুষ্যস্তের হৃদয়ে শৃঙ্গাররসের উৎপত্তি’ হইয়াছে, ইহা লোকে বুঝিবে কিসে? পরচিত্ত তো সর্বদাই পরোক্ষ । একজনের আস্তর চিন্তাধারা আর একজনের নিকট অজ্ঞাত— ইহা তো সর্ববাদিসম্মত সত্য। তবুও বাহ শরীরচেষ্টাসমূহ দুইটি অপরিচিত মনোজগতের মধ্যে পরিচয়ের সেতু স্থাপনা করে। নতুবা, লৌকিক সমস্ত ব্যবহার অচল হইয়া পড়িত । আমরা ভ্রভঙ্গ, আকার, ইঙ্গিত, চেষ্টা, ভাষণ প্রভৃতির দ্বারা পরচিত্তের অস্তগৃঢ় চিন্তাধারার সহিত পরিচিত হইতে পারি। মনোজগং পরোক্ষ বটে, কিন্তু আকার ইঙ্গিত প্রভৃতি সমস্তই বহিরিন্দ্রিয়গ্রাহ । ধূম যেমন অদৃশু বহ্নির জ্ঞান জন্মাইয়া দেয়, সেইরূপ শারীরবিকৃতিসমূহও, যাহাদিগকে সাহিত্য-মীমাংসাশাস্ত্রে পরিভাষিক ‘অকুভাব’ সংজ্ঞার দ্বারা অভিহিত করা হইয়া থাকে, পরোক্ষ আন্তর বৃত্তিসমূহের গমক। স্বতরাং ‘রস’ ও ‘অমুভাবে’র মধ্যে গম্য-গমকভাবসম্বন্ধ–ধুম ও বহ্নির মত । ‘রস’ গম্য বা অনুমেয় ; আকার, ইঙ্গিত, চেষ্টা প্রভৃতি ‘অকুভাব গমক বা অনুমাপক। এক্ষণে ব্যভিচাবিভাবের রসোদ্বোধের প্রতি উপযোগিতা কতটুকু ? ১. এখানে সাধারণ দর্শক বা সামাজিকের পক্ষ হইতেই ‘অনুভাবসমূহের নায়কগত রসামুভূতির প্রতি গম্য-গমকভাব প্রতিপাদন করা হইয়াছে। টাকাকারগণও লোল্লটাচার্যের মতের এইরূপই ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন। কিন্তু নায়কগত রসামুভূতির পূর্ণতাও অনেকট উtহার স্বকীয় অমুভাবের উপরই নির্ভর করে। অনুভাবসমূহ শুধু যে সাধারণের নিকটেই নায়কগত রসাত্মক চিত্তবৃত্তির १भक, ठांश मप्ठ्,-नांद्रष्कब्र चकौग्न ब्रन७ अषूछांदनमूरश्द्र बाब्रांई छैशग्र निकै छैदांषिठ श्रेग्रा থাকে। এমন কি, অনেক আধুনিক মনস্তত্ববিদ (যেমন James, range প্রভৃতি) শারীরবিকৃতি ব৷