পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা নবম খণ্ড.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদি ব্রাহ্মসমাজ

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে পূর্বে পরিচিত হইলেও, মহাভারত অনুৰাদ সমাপ্তির (১৮৬৬) পর হইতেই হেমচন্দ্র আদি ব্রাহ্মসমাজের সঙ্গে ঐকান্তিক ভাবে মিলিত হইলেন। এই দুই সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত ও রামায়ণ ] অনুবাদে বিশ্বায়ত্বের সংস্কৃত রচনা ও বাংলা ভাষায় যেরুপ দক্ষতা জন্মিয়াছিল, তাহা বাস্তবিকই অনুকরণীয়। হেমচন্দ্র ১৮৬৭ খ্রীষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে (বৈশাখ ১৭৮৯ শক) ‘তত্ববােধিনী পত্রিকার সম্পাদক-পদে বৃত হন। এই পদে তিনি পূর্ণ দুই বৎসর কাল অধিষ্ঠিত ছিলেন। ইহার পরেও ‘তবােধিনী পত্রিকা সম্পাদক এবং সহকারী সম্পাদক-পদে তিনি কিছুদিন কাৰ্য্য করেন। হেমচন্দ্র কয়েক বৎসর আদি ব্রাহ্মসমাজের সহকারী সম্পাদক, যন্ত্রাধ্যক্ষ প্রভৃতি পদেও নিযুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন বর্ষের তত্ববােধিনী পত্রিকায় তাহার ঐ সব পদে নিয়ােগের সংবাদ যথারীতি বাহির হয়। ইহার প্রধান প্রধান কয়েকটি বিষয় নিম্নে প্রদত্ত হইল।

তত্ববােধিনী পত্রিকার সম্পাদক: বৈশাখ ১৭৮৯ শক—চৈত্র ১৭৯০;
বৈশাখ ১৭৯৯ শক-ভাদ্র ১৮০৬ শৰু
আশ্বিন ১৮০৬শক-বৈশাখ ১৪০৭ শক
ভবােধিনী পত্রিকার সহকারী।
| সম্পাদক: জ্যৈষ্ঠ ১৮০৭ শক-অগ্রহায়ণ (?)১৮৯৪;
বৈশাখ ১৮২১ হইতে মৃত্যুকাল
( অগ্রহায়ণ ১৮২৮ শক) পর্যন্ত।

শত পণ্ডিত হেমচৰ বিকার প্রযােধিনী পত্রিকা সম্পাদন কাব্যে নি। লন—বাধিনী পত্রিকা বৈশাখ ১৮২, শক। বৈশাখ ১৮২৬ গৰুতে সায় সকল অয় না পায় খুন্ত্রিত হয়।