পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*न $७०é { } উপসর্গের অর্থবিচার নামক প্ৰবন্ধের সমালোচনা । "షిర్డీ বিভক্তির চিহ্ন ‘র’ ইহাদের অর্থের জ্ঞান করিতে হইবে, নতুবা আঁর্থজ্ঞানের উপায় নাই। সুতরাং gथ যাইতেছে যে, এ স্থলে “ঘোড়া’ শব্দের প্রতিশব্দে ‘ঘোড়ার গাড়ি বলিলে “ঘোড়া’ শব্দের ত, পরিচয় দেওয়া হইলই না, অধিকন্তু আর দুইটী অতিরিক্ত শব্দ বলা হইল। ঐ দুইটী অতিরিক্ত শব্দের জ্ঞান থাকিলেও ‘ঘোড়া’ শব্দের জ্ঞান হইবে না। প্র’র অর্থ ‘প্রকৃষ্ট” এ স্থলে কিন্তু “প্ৰকৃষ্ট” একটি পদ, ঐ পদের অর্থজ্ঞান, যে দুইটী শব্দ লইয়া ঐ পদটী গঠিত, তাহদের অর্থের জ্ঞানের সাপেক্ষ নহে ; সুতরাং এ স্থলে পৃথকভাবে ‘প্র’ ও ‘কৃষ্ট” শব্দের জ্ঞানের , আবশ্যকতা নাই ; অতএব ঐরূিপ পৃথক পৃথক জ্ঞান না হইয়াও অবয়বী “প্রকৃষ্টের, প্রজ্ঞান হইতে পাত্নে । অতএব দেখা গেল যে, প্র= প্রকৃষ্ট ও ঘোড়া = ঘোড়ার গাড়ি এ দুই কথা এক নহে। } ” এখানে প্রসঙ্গতঃ আর একটী কথা বলিব, “প্র’র অর্থ প্রকৃষ্টরূপে এইরূপ সোপসর্গ পদ দ্বারা উপসর্গের অর্থ করিবার প্রণালী অতি প্রাচীন কাল হইতেই প্রচলিত আছে। এই প্রণালী ভগবান ভাষ্যকার পতঞ্জলি ও দার্শনিক প্রবর ভট্টকুমারিল প্রভৃতি কুশাগ্রবুদ্ধি মহাত্মগণ অবলম্বন করিয়াছেন। ভগবান ভাষ্যকার “সমৰ্থঃ পদবিধিঃ” (পা, সু। ২॥১৷১) এই পাণিনি সুত্রের ব্যাখ্যায় ‘সমৰ্থ” পদের অন্তর্গত সম উপসর্গের অর্থ কি তাহার নির্ণয় স্থলে সঙ্গীতাৰ্থং সমৰ্থং, সংসৃষ্টাৰ্থং সমৰ্থং, সংপ্রেক্ষিতাৰ্থং সমৰ্থাৎ, সম্বন্ধাৰ্থং সমৰ্থং এইরূপ সমৰ্থশব্দের যতগুলি প্রতিশব্দ দিয়াছেন সকলগুলিই সম উপসাগঘটিত । ভট্টকুমারিল তাহার শ্লোকবাৰ্ত্তিকের ৪র্থ সুত্রের ৩য় শ্লোকে বলিয়াছেন, “সম্যগার্থে চ সম্শব্দে দুপ্রয়োগনিবারণঃ” অর্থাৎ “সৎসম্প্রয়োগে পুরুষম্ভেন্দ্ৰিয়াণাং বুদ্ধিজন্ম।” এই প্ৰত্যক্ষ লক্ষণে “সম্প্রয়োগ’ শব্দের অন্তর্গত। ‘সম’ শব্দের অর্থ “সম্যক্‌’, সুতরাং “সম্প্রয়োগ’ শব্দের অর্থ “সম্যক প্রয়োগ’ ও ঐ শব্দটী ইন্দ্ৰিয়গণের দুপ্রয়োগ নিবারণের নিমিত্ত প্ৰযুক্ত হইয়াছে, এইরূপ বলিয়াছেন। যদি ঐ রূপ পরিচয় অন্যোন্যাশ্রয় দোষ দুষ্ট হইত। তাহা হইলে তঁহাদিগের ন্যায় মনীষিগণ উহার আদর করিতেন কি ? এক্ষণে দেখা যাউক, প্ৰবন্ধকারের প্রণালী বস্তুতঃই বৈজ্ঞানিক্ল প্ৰণালী কি না এবং ঐ প্রণালীতে উপসর্গের অর্থ নিষ্কাশনে তিনি কতদূর কৃতকাৰ্য হইয়াছেন। সমালোচনা আরম্ভ করিবার পূর্বে উপসৰ্গসম্বন্ধে দুই চারিটীি কথা বলিব। ঈ"উপসৰ্গ” এই শব্দটী উপপূর্বক স্বজ ধাতুর উত্তর ঘঞ’ প্ৰত্যয়ে নিম্পন্ন। উহার বুৎপত্তি হইতে নিম্নলিখিত অর্থ পাওয়া যায় ঃशाशन्ना क्षाङ्कक अदशश्न করিয়া ঐ ধাতুরই নানাবিধ অর্থের সৃষ্টি করে, তাহারা উপসর্গ :- “আখ্যাতমুপগৃহাহৰ্থবিশেষমিমে তস্তৈব সৃজন্তীত্যুপসৰ্গ” ঃ-দুর্গাচাৰ্য্য। আমাদের দেশীয় প্রাচীনতম • শক্‌চাৰ্যদিগের মতে উপসর্গগুলি ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। একই উপসর্গের ধাতুভেদে, প্ৰয়োগভেদে, নানা অর্থ লক্ষিত হয়। ঐ সকল প্রয়োগের অর্থ অনুগত (Generalise) fits, তাহারা এক একটী উপসর্গের কতকগুলি করিয়া অর্থ স্থির করিয়াছেন। তঁহারা কিন্তু প্ৰবন্ধকারের ন্যায় এক একটা উপসর্গের সর্বস্থলেই একরূপ অর্থ হইবে, ইহা স্বীকার করেন না । তাঁহাদের মতে উপসর্গগণ সাধারণতঃ ধাতুর অর্থের অনুবর্তন, বাধ ও বিশেষ করিয়া, থাকে। অনুবর্তন করে, অর্থাৎ উপসৰ্গযোগনিবন্ধন ধাত্বর্থের কোন বিশেষ লক্ষিত হয়।