পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পান ১৩** 11 উপসর্গের অর্থবিচার নামক প্রবন্ধের সমালোচনা। '884.

  • শািন্বতত্ত্ব ও ভাষাতত্বের অনেক জটিল কথার অবতারণা করিতে হয়, সময়াভাবে অদ্য সেরূপ

অবতারণা করা অসম্ভব। যাস্কের নিরুক্তে এই বিষয়ে এক বিস্তৃত বিচার আছে, উহা এতদুর, সমীচীন যে, পণ্ডিতপ্ৰবর ম্যাক্সমুলার সাহেব উহার একটি ইংরাজি অনুবাদ করিয়া স্বীকৃত History of Ancient Sanscrit Literature Tefs Šia JRTS সাহিত্যের ইতিহাস নামক গ্রন্থে নিবেশ করিয়াছেন । O প্ৰথম প্ৰবন্ধের কয়েকটী কথামাত্র সমালোচিত হইল, অবশিষ্ট সমস্তই অনালোচিত • রহিল ; দ্বিতীয় প্রবন্ধে তা হস্তক্ষেপই হইল না। কিন্তু ঐ প্রবন্ধের একটী কথার উল্লেখ না কৰুিয়া থাকিতে পারিলাম না। ঐ প্রবন্ধের ১২৩ পৃষ্ঠায়, পরামর্শ” শব্দের অন্তর্গত পরা” টুপমার্গের ব্যাখ্যায় প্ৰবন্ধকার:ভাষাপরিচ্ছেদ নামক ন্যায়গ্ৰন্থ হইতে একটী শ্লোকান্ধ বিকৃতভাবে উদ্ধৃত করিয়াছেন ও তাহার এক অত্যন্ধুত ব্যাখ্যা করিয়াছেন। উদ্ধত শ্লোকান্ধী ও• তাহার ব্যাখ্যা এইরূপ ৪—“নৈয়ায়িক ভাষায় পরামর্শ শব্দের অর্থ ব্যাপ্যস্ত পক্ষত্বধৰ্ম্মধীঃ অর্থাৎ ব্যাপ্য বিষয়ের পক্ষত্বধৰ্ম্ম অবধারণ ৷ পক্ষত্ব কি নু Party"ত্ত্ব এখানে পৌরুষেয় ভাবি (Personality) বাদ দিয়া Party শব্দের অর্থগ্রহণ করা হউক”, ইত্যাদি ইত্যাদি । আসল শ্লোকান্দ্ব কি ও তাহার অর্থই বা কি, তাহার এ স্থলে উল্লেখ করিবার আবশ্যকতা নাই। প্ৰবন্ধকারের ন্যায় বিজ্ঞ ও পণ্ডিত ব্যক্তি কিরূপে ঐ রূপ বিকৃতভাবে শ্লোকান্ধটী উদ্ধৃতি করিলেন ও উহার অর্থাদি একেবারেই পৰ্যালোচনা না করিয়া স্বকৃত অদ্ভুত ব্যাখ্যা দিলেন, ইহাই বিস্ময়ের বিষয়। এইরূপ গৌতমসুত্ৰ হইতেও স্থানবিশেষ উদ্ধৃত করিয়াছেন ও উদ্ধৃতাংশের অপব্যাখ্যা করিয়াছেন। সময়ান্তরে ও প্ৰবন্ধান্তরে তৎসমস্ত আলোচ্য। প্ৰবন্ধকার উপসর্গের অর্থনষ্কাসন বিষয়ে যত্ন, পরিশ্রম ও গবেষণার ত্রুটি করেন নাই; কিন্তু আমাদের দেশীয় প্রাচীন শব্দাচাৰ্যদিগের প্রতি অনাস্থ্যাবশতঃ শব্দতত্বের মূল পান নাই ও আলোচ্য বিষয়ের গুরুতা হৃদয়ঙ্গম না করিয়াই উপসর্গের অর্থানুগম করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। সুতরাং এরূপ স্থলে যাহা হইয়া থাকে, তাহাই হইয়াছে। সমালোচকের কর্তব্য বড়ই দুরূহ ও অপ্রীতিকর। ; কেবল “অনুরুদ্ধ হইয়াই এই অপ্রীতিকর কার্য্যে ব্যাপৃত হইয়া সম্মানাহঁ প্ৰবন্ধকারের নিকট অবিনয় প্রকাশ করিতে বাধ্য হইয়াছি। শ্ৰী রাজেন্দ্ৰচন্দ্ৰ শাস্ত্রী।