পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

في ه الرب لا } উপত্নৰ্গগুলি অনেক সময় ধাতু হইতে বিচ্ছিন্ন ভাবেই ব্যবহৃত হইত। যেমন ‘প্র’ ‘ণ, আয়ুংষিঃ তারিষতা এখানে পুতারিষত না হইয়া “প্র ও তারিষতের ম ে ধৰ্ম অনেকগুলি বর্ণের ব্যবধান, লৌকিক সাহিত্যে এরূপ ব্যবহার বিরল বা একেবারেই নাই বলিলেই হয়। উপসর্গগুলি ধাতুনিরপেক্ষ অর্থাৎ স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হইলে উহাদিগের নামান্তর হয়, তখন তাহাদিগকে কৰ্ম্ম প্রবচনীয় কহে। কৰ্ম্মপ্রবচনীয়ের, উদাহরণ সংস্কৃত লৌকিক ও বৈদিক উভয়বিধ সাহিত্যে ”তুরি ভুরি দেখিতে পাওঁয়া যায়, সুতরাং সমান্ত উপসর্গেরই সে এক সময় স্বতন্ত্র অর্থবোধকতা ছিল, তাহাতে আর সন্দেহ নাই। উপসর্গের অর্থ লইয়া প্রাচীনু বৈয়াকরণগণ অনেক বিচার করিয়াছেন। কেহ কেহ বলেন, উপসৰ্গাদিগের অর্থ বাচকতা নাই, কিন্তু দোঁতিকতা আছে, অর্থাৎ উপসর্গগণ কোন বিশেষ অর্থের বাচক নহে। তবে ধাতুযোগে বিশেষ বিশেষ স্থলে বিশেষ অর্থ প্ৰকাশ করে মাত্র । এ বিষরে প্রাচীন বৈয়াকরণদিগের মধ্যে শাকটায়ন ও গার্গের মতভেদ দৃষ্ট হয়, যথা—“ন নির্ধদ্ধা উপসৰ্গা অর্থান্নিৱাহুরিতি শাকটায়নো নামাখ্যাতয়োস্ত কৰ্ম্মেপসংযোগদ্যোতক ভবন্তু্যচ্চাবিচাঃ পদার্থ ভবন্তীতিতি গার্গ্যঃ” (যাস্ক নিরুক্ত নিঘণ্টা কাণ্ড ৩৭ পূঃ সোসাই• o টীর সংস্করণ) অর্থাৎ শাকটায়নের মতে উপসৰ্গাদিগের সাক্ষাৎ অর্থাভিধানশক্তি নাই, গার্গ্য কিন্তু সেই মত স্বীকার করেন না । তঁহার মতে উপসর্গের স্বতন্ত্র অর্থাভিধান শক্তি আছে ও তাহাদিগের অর্থ ক্রিয়া বিশেষ । ‘তস্মাৎ উপসৰ্গস্য ক্রিয়াবিশেষোহাৰ্থঃ” নিরুক্তাকার যাস্ক এই শেষোক্ত মতই গ্ৰহণ করিয়াছেন। ভট্টোজী দীক্ষিতও তঁহার বহুবিস্তৃত শব্দকৌস্তুভ গ্রন্থের প্রারস্তে এ বিষয়ে বিচাবি করিয়াছেন ও শাকটায়নের ন্যায় উপসৰ্গাদিগের অর্থবাচকতা * নাই, এই কল্পই আশ্রয় করিযাছেন । আমরা কিন্তু প্ৰাচীনতম গ্ৰন্থকারদিগের পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া বাচকতা-কল্পকে ও একেবারে পরিহার করিতে পারিলাম না । এ স্থলে প্ৰসঙ্গীত একটী কথার উল্লেখ করিতে বাধ্য হইলাম। নিরুক্তে সকল শব্দ ধাতু হইতে উৎপন্ন, “নামান্যাখ্যাত-জনীতি শাকটায়নো নৈরুক্তসময়শ্চ ন সৰ্ব্বানীতি গার্গ্যো বৈয়াকরণানাং চৈকে” নিঘণ্টা কাণ্ড (চতুর্থপদের প্রারম্ভে ) গাৰ্গা ও বৈয়াকরণদিগের কেহ কেহ বলেন, সকল শব্দ ধাতুজ নহে। এই বিচারে শব্দের বুৎপত্তিঘটিত অনেক সুন্ম তত্ত্বের অবতারণা আছে, তাহা পৰ্যালোচনা করিয়া স্থূলতঃ এইরূপ সিদ্ধান্ত করা যাইতে পারে যে, শব্দের প্রবৃত্তি নিমিত্ত ( শক্যতাবচ্ছেদক ) সৰ্ব্বস্থলে বুৎপত্তি নিমিত্তের সহিত অভিন্ন নহে, অন্যাচ প্ৰবৃত্তিনিমিত্তং শব্দনাম অন্যন্ত বুৎপত্তিনিমিত্তং’ অর্থাৎ সরল ভাষায় বলিতে গেলে শব্দ ব্যবহার সৰ্ব্বত্র বুৎপত্তির অনুযায়ী নহৈ, এইরূপ কথা বলা যাইতে পারে। প্ৰস্তুত্যু সুমালোচনায় এই কথাটীর বিশেষ অঙ্গুযোগ দৃষ্ট হইৰে। সকল স্থলেই যে প্রযুক্ত প্রদের অর্থ, ধাতু খণ্ড উপসর্গের অর্থের সমষ্টি হইবে এরূপ নহে, সুতরাং সকল স্থলেই ঐ রূপ অৰ্থনিষ্কাসনের চেষ্টা যে সফল হইবে বা হইয়াছে এরূপবলা যায় না। প্ৰবন্ধকার অপি, সু, ও হার এই ক্যুটী উপসর্গের অর্থ সুগম বলিয়া উহাদিগের বিষয়ে কোনরূপ আলোচনা কয়ে নাই। এক্ষণে বক্তব্য