পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, , , , r st set ! बैठना-मी । چهdi 8伞 উনসার্ভ তনয় মৈল । বধুয়া বিধবা হৈল৷ এ মুখ দেখুব করে। প্ৰবেশি পাতালপুরে। পুত্ৰ বিনে নাহি ধন। পিণ্ড দিব কোন জন ৷” এটি অষ্টাক্ষরী মিত্ৰাক্ষরা বৃত্তি। তৃতীয় চরণে “তনুয়” শব্দ “পুত্র” শব্দে পরিবৰ্ত্তিত করিলে অক্ষরাধিক্য দোষ থাকিত না। “উনসৰ্ত্তি” শব্দটি “উনসত্তর’ বাধক ; উহা হয়ত কবির দেশপ্রচলিত কথোপকথনের ভাষায় ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ( R ) মা, তুমি যারে কর বিড়ম্বন । কাষ্ঠ জিনি কলেবর করা তারে জর জর অঙ্গে কর উএর নাদন ৷ এরূপ ধুয়াবিশিষ্ট ত্রিপদী ছন্দ সমগ্র কাব্যে এই একটী মাত্ৰই আছে। কল্পনা। —কবির কল্পনাশক্তি বেশ তীক্ষ ও মাজ্জিত ছিল না। তাই।ার বিচারে চূড়ান্ত• সুখের ছবি যে কি, তাহার একটা উদাহরণ তিনি চন্দ্ৰকেতুর প্রজার অবস্থা বর্ণনার মধ্যে অসতর্ক ভাবে দিয়া গিয়াছেন,- “সুবর্ণের কলসীতে প্ৰজা জল খায়। কেবা রাজা কেবা প্ৰজা চেনা নাহি যায় ৷ রোগ শোক নাহি জানে সদাই মদন । লিখিতে না পারে যেন ইন্দ্রের ভুবন ॥ রাজার রাজ্যেতে কেহ নাহি করে ভাগ । কুল ভরি ধান্য লেই তিল ভোর বিঘা ৷” কবির মতে, প্ৰজা সুবর্ণের কলসীতেই জল খাউক, আর রাজায় প্ৰজায় সমান ভাবেই চলুক, যদি তাহাকে ভাগে চাষ করিতে না হয়, যদি সে কুল ভরিয়া ধান লইতে পায় এবং যদি তার বিঘা ভোর জমীতে তিল জন্মে, তাহা হইলে আর তাহার দুঃখ কি ? ইহা হইতে আমরা কবির নিজের অবস্থাও অনুমান করিতে পারি। ভাষা।--ভাষাগত বিশেষত্ব এই কাব্যে বড় বেশী নাই, যাহা আছে, তাহা দেখাইতেছি।-- ( ১ ) কঁাটাল্যা বসন্ত বলে দেবী বিদ্যমান । ( ২ ) শিখর্য বসন্ত বলে দেবী বিদ্যমান। এইরূপ “বেঁউচ্যা”, “গগর্যা”। এরূপ শব্দ আরও আছে। এখনকার ভাষায় এইগুলির যফুলা ও আকারটাকে বিস্তৃত করিয়া “কঁাটালিয়া” হইয়া দাঁড়াইয়াছে। “শিখরিয়া”; “বেঁউচিয়া” ইত্যাদিরূপে লেখাই প্রথা ও শুদ্ধ বলিয়া গণ্য হইয়াছে। “মগর্যা”টি মগরিয়া না হইয়া বোধ হয় মগারাই হয় ( যেমন খাগড়াই ) । • (৩) আভরণ ত্যজিলেন রূপা আদি হীরা। কবি যদিও চন্দ্ৰকেতু রাজার প্রজাবৰ্গকে সোণার কলসীতে জল খাওয়াইয়াছেন, সোণার ভঁটা লইয়া শিশুদিগকে খেলা করাইয়াছেন, তবু এই চরণটীতে রূপার আভরণ ভিন্ন সুবর্ণের অলঙ্কারের উল্লেখ করেন নাই। যদিও এস্থলে “আদি” শব্দের প্রয়োগ আছে ও হীরকের উল্লেখও আছে, কিন্তু কবির সামাজিক অবস্থা যাহা ছিল, সে অবস্থায় লোকে রূপার গহনা