পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न »७०d ) ]' औऊब्ल-गात्रीलं। ○○い “ব্ৰাহ্মণে করিতে কৃপা ব্ৰাহ্মণীর গুণুে । নারায়ণ চিন্তি মনে নিত্যানন্দ ভণে ৷” নিত্যানন্দের শীতলা-মঙ্গলের বিবরণ এইরূপ,- “গোকুল-পালা ।-- রঙ্গরসে করা স্থিতি রোগপুরাপাটনে । বসন্তকুমারী বস্যা বস্যা ভাবে মনে ৷ ব্ৰণব্যাধি-যানে বেড়াই চৌদভুবন । সত্য ত্ৰেত নিলাম পুজী শাস্যা ত্ৰিভুবন ॥ দ্বাপরোতে দাসী সঙ্গে বস্যা যায় দিন । মহীতলে হল নাঞি মহিমার চিন ৷” * কবি নিত্যানন্দের কল্পনা বড় তেজস্বিনী । শীতলার অবস্থানের জন্য তিনি স্বৰ্গে মৰ্ত্ত্যে কোথাও স্থান না করিয়া “রোগপুরাপাটনের” সৃষ্টি করিয়াছেন, শীতলার চৌদভুবন ভ্ৰমণ করিবার জন্য “ব্ৰিণব্যাধিরূপ যানের” সৃষ্টি করিয়াছেন, আর শীতলার নাম দিয়াছেন “বসন্তকুমারী” । যে পুরাণকার কবি যেন ব্ৰণভয়ে ভীত হইয়া এই দেবীর নাম শীতলা রাখিয়াছিলেন, তঁাহা অপেক্ষা বাঙ্গালী নিত্যানন্দকে অধিক সাহসী বিলিতে হয়, তিনি নিৰ্ভয়ে দেবীর নাম “বসন্তকুমারী।” রাখিয়াছেন। যে বাঙ্গালী ভয়ে বসন্তের মুম করে না, বলে “মার অনুগ্রহ”, সেই বাঙ্গালীরই জনৈক কবি নিত্যানন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী মার বাস্তবিক অনুগ্রহালাভাশয়ে, ম্যার উপযুক্ত নাম-ধাম-যানাদির কল্পনা করিয়া একটু নূতনত্ব দেখাইয়াছেন বলিতে হইবে । তাহার পর কবি শীতলাকে সৰ্ব্বকালজয়িনী করিবার জন্য দ্বাপরে কিরূপে মহীতলে মহিমার চিহ্ন থাকিবে, তাহা ভাবিতে বসাইয়া গ্ৰন্থারম্ভ করিয়াছেন। যাহা হউক, মহিমা প্রচার করিতে হইলে, দেবদেবীদিগের একার যুক্তিতে কিছু হয় না, কাহারও সহিত পরামর্শ করা আবশ্যক হয়, সুতরাং প্রথানুসারে শীতলারই বা না হইবে কেন দৈবকীনন্দনের শীতলাও জ্বারাসুরকে ডাকিয়া ছিলেন, নিত্যানন্দের বসন্তকুমারীও তঁহাকেই ডাকিলেন ;- “যুক্তিহেতু জগৎমাতা জ্বরাকে জিজ্ঞাসে। পৃথিবীতে পূজার প্রচার হয় কিসে ৷ বুঝ্যা বুঝ্যা বিচক্ষণ বুদ্ধি দিল জ্বর। গুণ খ্যাত হবে যাহ গোকুলনগর ৷ নাশিতে ক্ষিতির ভার দৈত্যের নিধনে । পূৰ্ণব্ৰহ্ম নারায়ণ নন্দের ভবনে ৷ বাল্যবেশে ব্ৰজপুরে বিহারে গোপাল । শ্ৰীদামের অংশকাল দ্বাদশ রাখাল ৷ ষোড়শ সহস্ৰ গোপী স্বয়ং আদ্যা রাধা । কলাবর্তী কেবল কৃষ্ণ অঙ্গ আধা ৷ ব্ৰহ্মাদি বাসনা করে যার পদধূলি । সে হরি আপনি গোপগোপী সঙ্গে কেলি ৷ দেবতা তেত্ৰিশ কোটি ত্যজি স্বৰ্গশালা। ত্রিসন্ধ্যা গোকুলে আসি দেখে কৃষ্ণলীলা ৷ ত্ৰিসর্গপ্রিয়া গঙ্গা কাশী বারাণসী। এসব এখন নয় গোকুল সদৃশ ৷ এমন গোকুলে মাতা পূজা নেয় যদি। ত্ৰিভুবনে যশ হয়। জব্দ হয় ক্ষিতি ৷” মা শীতলা সত্য-ত্রেতায় ত্ৰিভুবন শাসিত করিয়া পূজা লইয়া গরবিনী হইয়া বসিয়া ছিলেন ; দ্বাপরে কিরূপে পৃথিবীতে মহিমার চিহ্ন প্রতিষ্ঠিত করিবেন, তাহাই ভাবিতে