পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৫ । ] मैोऊळ-शश्र्व् । ( S. বৈষ্ণব নিতানন্দ এইরূপে ইষ্টদেবতার মানরক্ষা ও গ্ৰন্থপ্ৰতিপাদ্য দেবতার মহিমা ‘কীৰ্ত্তন "করিয়া বড় সুন্দর ভাবের পরিচয় দিয়াছেন। শীতলার বাঞ্ছাপূর্ণ হওয়ায় শীতলা কৃষ্ণের স্তব করিলেন, তঁাহার ব্ৰহ্মাদি বন্দিত অভয়পদের মহিমা কীৰ্ত্তন করিয়া বলিলেন,- “যুদ্ধে জ্বর জিনি নিল যে পদ চিন্তে হয়। এমন পকাঘাত আমার ঘটের উপর ॥ জন্মকালে কৰ্ম্মস্থানে শুভগ্ৰহ ছিল । অসাধনে অভয়চরণ তেঁই মিলে গেল।” শীতলার এতটা অনুনয় বিনয় শুনিয়া কৃষ্ণ ও পালটা জবাব দিলেন,- “ .. ” “কৃষ্ণ কহেন মাপ কর ক্ষম ব্ৰহ্মার বি । তব বাঞ্ছা ভঙ্গে ডরি মোর দোষ কি ৷” তাহার পর শীতলা একটি নাতিদীর্ঘ স্তবপাঠ করিলেন,- কৃষ্ণ সন্তুষ্ট হইয়া স্বৰ্গস্থ দেবতাগণের কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন। শীতলা ভগবদ্ধিনা স্বৰ্গ অন্ধকার জানাইলেন, দেবগণের চিন্তার কথা বলিলেন। কৃষ্ণ বলিলেন,- “গােবিন্দু কহেন শুন, তা সভার চিন্তা কেন, দৈত্য নাশুষ্ঠা খণ্ড্যাক্ষিতিভার। দ্বারাকাতে কার্যা লীলা, যেতেছি আমারশালা, কহ কেন গমন তোমার" শীতলা এই প্রশ্ন শুনিয়া বলিলেন,- “ব্ৰহ্মা বিষ্ণু ত্ৰিলোচন, এক সঙ্গে তিনজন, শীতলাকে দিলে অধিকার । বিশেষয় ব্যাধি দিয়া, পাঠালা বসন্ত লয়্যা, ব্ৰজপুরে পুজা নাঞি তার ৷” তার পর কৃষ্ণ শীতলাকে গোকুলে অধিকার দিলেন এবং বলিলেন, দেবতারাও দুঃখভাগী, আর গোকুলের গোয়ালার মানুষ হইয়া দুঃখ সহিবে না, এও কি হয়। এই স্থলে প্ৰসঙ্গতঃ কৃষ্ণ রোমাবতার ও কৃষ্ণাবতারে তাহার নিজের যে সকল দুঃখ কষ্ট ভোগ হইয়াছে, তাহার একটা তালিকা শুনাইয়া দিলেন, শেষে বলিলেন,— “দারুব্রহ্ম হব পূর্ণ করি এই লীলা । কৃষ্ণের কারণ শুনি কান্দে মা শীতলা ৷” তাহার পর কৃষ্ণ বলিলেন,--- “ফিরে প্রভু কন দেবী ব্ৰজপুরে যায়। তুমি পূজা লইতে কি আমারে ডরায় ৷ আপনি বসন্ত আমি করিলা সৃজন। আমি নাহি সহিলে সহিবে কোন জন ৷ বসন্তে উত্তরি বাপু হয় বজবৎ । মৃত্তিকার পাত্ৰ পোক্ত দহনে যেমত ৷ • কাচা থাকে কলেবর বসন্তবিহীন । দামোদরে দয়াময়ী দিও গুটি তিন ॥ 臀 称 臀 帐 普 মন যেন মোর গো না কোরো উদাসীন । যেন ব্ৰজ গোপদের মুখে না। রাখিহ চিন ॥", শীতলা সন্তুষ্ট হইয়া রোগপুরশিখরে ফিরিয়া আসিলেন এবং রক্তব্বতী-সখী সঙ্গে রোগগণকে লইয়া ব্যবস্থা করিতে বসিলেন। পরামর্শ হইল শিলাবৃষ্টি করিয়া সেই শিলার সঙ্গে বসন্তবীজ প্রেরণ করিতে হইবে। তাঁহাই হইল, জ্বর বসন্তের শিল করিয়া চাপ । বাধিয়া ছড়াইতে আরম্ভ করিল। গোকুলের ছেলে-বুড়া সকলে সেই শিল অতিরিক্ত খাইয়া জরাগ্রস্ত এবং বসন্তাক্রান্ত হইল । কৃষ্ণ বলরামেরও বসন্ত হইল । c “কৰ্দম ।