পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । { sभ ज९२Jा গোস্বীয় গৰ্জিয়া খাড়া দেই গোপ মোড়। এইরূপে আমার অনেক খাই ভাড়া ॥ পাইয়াছি প্রথমে আজি পলাইবি কোথা। নাহি জােন রাজকর দিতে হবে হেথা ৷” छेश्। श्शेरुङ কুঁ৷ যাইতেছে যে কবির সময়ে কাশীজোড়া অঞ্চলে পথে বাণিজ্য দ্রব্যের উপর শুষ্ক আদায় করা হইত। যে আদায় করিত, তাহাকে ঘাটওয়াল বা জগাতি বলিত । তাহার পর কত দিতে হইবে তাহাও উল্লিখিত হইয়াছে— “আগে মোর মামুলী আঠারো বুড়ি গণ। পরে ফেল সুষোড়ীর 어 Fr f একুনেতে অষ্ট শত চারি পণ সাড়ে। নহিলে ভৎসনা করে নিব নাথি চড়ে ৷” অর্থাৎ তখন মামুলী অর্থাৎ নির্দিষ্ট রাজকর ছিল আঠার বুড়ি কড়ি, তাহার উপর জগাতিরা বলপূর্বক নানা বাবে অনেক আদায় করিত। এখানে শীতলার নিকট আটশত সাড়ে চারি পণ দাবী করা হইয়াছে। এই সকল আদায়ের জন্য মারপিট অত্যাচার বড়ই হইত ৮ তবে আর একটা নিয়ম ছিল। যাহার রাজাদেশে শুল্ক দান হইতে পরিত্রাণ পাইত, তাহারা ভারবাহী বলদের গলায় ঘণ্টা বান্ধিয়া দিত এবং রাজার ছাড় পাট্ট পাইত । ঘণ্টা বান্ধা বলদ ও ছাড় পাট্টা দেখিলে জগাতিরা আর তাহার শুল্ক আদায় করিত না ; যথা,- জারাসুর জগাতির কথা শুনিয়া বলিল,— “এত জোর কেন তোর মোকে তুল বাড়ি । ঘণ্টা বান্ধা বলদের ঘাটে নাই কড়ি ৷ নিমা বলে নিষ্ঠুর বেটা নিয়ে আয়তো দেখি পাট্ট। কার পাট্ট পাইয়া বলদে দিলি ঘণ্ট৷৷ ঘাটের রাজস্ব দিয়া আমি যাই মারা। চোয়া গরু, লয়ে চোর কার্যােছ চতুরা ৷” ইহা হইতে • আরও বুঝা যাইতেছে যে, ঘাট ওয়ালদিগকে রাজসরকার হইতে এক একটা ঘাট জমা করিয়া লইতে লাইত এবং তাহার নির্দিষ্ট রাজস্ব সে রাজসরকারে জমা দিয়া আপনি দৈনিক আদায়ের উপর নির্ভর করিত। ইহাতে জগাতির বিস্তর লাভ হইত, কিন্তু শুষ্কদাতৃগণের প্রতি বিস্তর অত্যাচার হইত। তাহার শীতলা গরীব বলিয়া দুই কাঠ কলাই মাত্ৰ দানস্বরূপ দিয়া অনেক কষ্টে জগাতির হস্তে উদ্ধার হইলেন। বলা বাহুল্য এই কলাইগুলিই গুপ্ত বসন্ত । এই কলাই অতি সুস্বাঞ্ছ। নিমাই রান্ধিয়া সপরিবারে খাইল। ক্রমশঃ সেই কথা রাজ্যমধ্যে ছড়াইয়। পড়িল । সকলে কিছু কিছু চাহিয়া লইয়া গেল। ওদিকে শীতলা গিয়া বাজারে সেই গুপ্ত বসন্তের কলাই বেচিতে বসিলেন। এইরূপে ক্রমশঃ রাজ্যমধ্যে প্ৰতি গৃহে বসন্ত । ছড়াইয়া পড়িল। নিমাইয়ের সাত পুত্ৰ মরিাল। রাজ্যে হুলস্থল পড়িল । औऊब्न ब्रांख्iद्ध গুরু পুরোহিত বিদ্যানিধি ও বাচস্পতিকে বৃদ্ধ বেশে গিয়া জানাইলেন যে, রাজা যদি দেবদাসদত্ত বণিককে পাঠাইয়া রঙ্গজসফর হইতৃে সমুদ্রগর্ভস্থ হেমঘট উঠাইয়া আনাইয়। মেষ মহিষাদি বলি দিয়া পূজা করেন, তবেই রােজ্যরক্ষণ হইবে। প্ৰত্যুষে পত্নীর সহিত