সাহিত্য পরিষৎ-পত্রিকা । | ১ম সংখ্যা । موا (4 (à শ্মশানের পুঙ্খায় রাজা বিরাট যোগ দেন নাই রাণী ও রাজবধু গোপনে পূজা করেন । রাণীর নিকট শীতলার অনুগ্ৰহ “শুনিয়া বিরাট গলায় কুঠার বান্ধিয়া শীতলার নিকট ক্ষমা চাহিলেন। শীতলা তখন দেবদাস সাধু দ্বারা হেমঘট আনাইয়া পূজা করিতে বলিলেন। রাজা বণিককে রঙ্গজপাটনে পাঠালীয়া দিলেন । দেবদাসকে প্রলোভিত করিবার জন্য বিরাট স্বীয় মন্ত্রিকন্যার সহিত বিবাহ দিলেন । তাহার. পরী"দেবদাসের নৌকাযাত্রা। শ্ৰীমস্তের পথের বর্ণনার ন্যায় কবি দেবদাসের পথের বর্ণনা করিয়াছেন। এই স্থলে বণিকের নৌকার নাম “মধুকর” পাওয়া যায় ;- “পবন গমনে চলে সপ্ত মধুকর।” { শ্ৰীমন্তের নৌকার নামও মধুকর, রায়মঙ্গলের পুষ্পদত্তের নৌকার নামও মধুকর আর এই দেবদাসের নৌকার নামও মধুকর। অতএব মধুকর সমুদ্রগামী প্ৰাচীন নৌকাশ্রেণীর নাম মাত্র বলিয়া বোধ হয়। তাহার পর দেবদাসের পথ “ওথা সাধুবাহে হর শঙ্করের ঘাট । যেখানে শঙ্কর যাত্ৰা করেন বিরাট ৷ চক্ষুর নিমেষে সাধু গেল পালুডাঙ্গা। সাতগাঁ ছাপাইল সাধু পাইয়া শিঙ্গাভাঙ্গা। বেণেপাড়া বাহিয়া যে এড়াল বিরাট । সম্মুখে এড়ান নিমা জগাতির ঘাট ৷” বিরাট রাজ্য বা মৎস্তদেশ কোথায় তাহা জানিনা, কিন্তু এস্থলে যে সকল স্থানের নাম পাওয়া যাইতেছে, এগুলি বাঙ্গালা দেশের একাংশে বটে। তার পর একবারে নীেকা যমুনা বাহিয়া অযোধ্যার নন্দীগ্রামে পৌছিবার কথা আছে। তার পর লৌহবন, ভাণ্ডীর বন, কদম্ববন, জাবট, গোবৰ্দ্ধন, কালীদহ, ইত্যাদির কথা। তাহার পর বৃন্দাবন হইয়া সারেঙ্গচাখলা নামক স্থানে সাধুর নৌকা উপস্থিত হইল তাহার, পর পূর্বহট্টে প্রবেশ করিল। তাহার পর বেহুলা, কুমুদবন, বংশীবট, চক্রশাল, ভোজনটিলা, তৎপরে মধুবন, তালবন, তাহার পর কংস রাজপাট (মথুরা ) হইয়া প্ৰয়াগে আসিল, সেখান হইতে q夺可t颈一 “পবন গমনে ছোটে সাপ্ত মধুকর। এড়াইল কলঞ্জ রাজার বাড়ী ঘর। এক বৈদ্যাপুর বাহে পরম কৌতুকে । দেখিতে দেখিতে, ডিঙ্গ আইল কটকে ৷ কটক বাহিয়া ডিঙ্গা আইল উজানি । , 皋 奉 皋 বালীঘাট বনপুর বাহে সাধুবালা।
