পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অঙ্ক
৯৫
দেখ বেগমেরা পাতায় মহল ক’রে আছে, ঝর ঝর ক’রে রিশ জানাচ্ছে। চলো, নীচের ডালে গিয়ে শুই।
জহরা। করিম চাচা, নবাবী শিবির কোন্‌টা বলতে পারো?
করিম। কেন চাঁদ, নবাবী গাছের ডাল তোমার পছন্দ হচ্ছে না? তুমি গুয়ে পেত্নীর বাচ্ছা, পায়খানায় থাকো, কখনো গাছের ডালে শোও নি, তা হলে আরাম পেতে। যদি প্রেম ক’র্‌তে হয় তো গাছের ডালে,—এমন পীরিত কোথাও হয় না।
জহরা। করিম চাচা, তুমি বড়মানুষ হ’য়ে যাবে, যা চাও পাবে।
করিম। মানুষ ছিলেম, মাম্‌দো হয়েছি, আবার মানুষ কি করে হই বাবা! এসো মাম্‌দো পীরিত করি এসো। (নেপথ্যে তোপধ্বনি)—ঐ শোনো, আমাদের নিকের তোপ হচ্ছে।
জহরার প্রস্থানোদ্যোগ
গুয়ে পেত্নী প্রাণ, যদি মেছো পেত্নী হ’তে, তাহ’লে এই কোয়াসায় তোমায় মৎস্যগন্ধা করতেম। তা এ গাছের ডাল যদি পছন্দ না হয়, তবে তোমায় সেওড়াগাছেই চলো, আমি তোমার নির্ঘ্যাত পীরিতে পড়েছি।—(নেপথ্যে কলরব বুদ্ধি)
জহরার প্রস্থান
এই যে, এতক্ষণে নবাবী ফোজের নেশা ছুটেছে। এখানে বাবা বড় ঝাঁজ, সর্ষে পোড়া দিয়েছে। এখন কোন্ দিকে সরি, আওয়াজ ত চারদিকেই।

মীরজাফর, রায়দুর্লভ, জগৎশেঠ মহাতাবচাঁদ ও স্বরূপচাঁদ
রাজবল্লভ প্রভৃতির প্রবেশ

মীরজাঃ। সর্ব্বনাশ হলো—সর্ব্বনাশ হলো! চতুদ্দিক হ’তে গোলাবর্ষণ হচ্ছে, অন্ধকারে শত্রু-মিত্র দেখা যাচ্ছে না। কোথায় যাই! কেন ষড়যন্ত্র ক’রে সন্ধি ভঙ্গ কর্‌লেম