পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায়। $6.5 অজ্ঞাতসারে সেই বৃক্ষে আরোহণ করিয়া সেই নারীর দিকে দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন । - হনুমান দেখিলেন “ঐ নারী রাক্ষসীগণে পরিবৃত ; উপবাসে যার পর নাই কৃশ ও দীন। তিনি পুনঃ পুনঃ সুদীর্ঘ দুঃখনিশ্বাস ত্যাগ করিতেছেন। তিনি শুক্লপক্ষীয় নবোদিত শশিকলার স্তায় নিৰ্ম্মল ; তাহার কাস্তি ধূমজালজড়িত অগ্নিশিখার স্তায় উজ্জল ; সৰ্ব্বাঙ্গ অলঙ্কারশূন্ত ও মললিপ্ত। পরিধান একমাত্র পীতবর্ণ মলিনবস্ত্র। র্তাহার দুঃখসন্তাপ অতিশয় প্রবল, নয়নযুগল হইতে অনর্গল অশ্রধারা প্রবাহিত হইতেছে ; শোকভরে যেন কাহাকে নিরস্তর হৃদয়মধ্যে চিত্ত৷ করিতেছেন। তাহার সম্মুখে প্রীতি ও স্নেহের পাত্র কেহই নাই, কেবলই রাক্ষসী ; তৎকালে তিনি যুথভ্রষ্ট কুকুরপরিবৃত কুরঙ্গীর স্তায় দৃষ্ট হইতেছেন। র্তাহার পৃষ্ঠে কালভূজঙ্গীর স্থায় একমাত্র বেণী লম্বিত। * * * তিনি ব্রতপরায়ণ তাপসীর ন্যায় ধরাসনে উপবেশন করিয়৷ আছেন, এবং সন্দেহাত্মক স্মৃতির দ্যায়, পতিত সমৃদ্ধির ন্যায়, স্থলিত শ্রদ্ধার স্থায়, নিষ্কাম আশার ন্যায়, কলুষিত বুদ্ধির ন্যায় ও অমূলক অপবাদে কলঙ্কিত কীৰ্ত্তির ন্যায় যারপর নাই শোচনীয় হইয়া বিরাজ করিতেছেন।” (৫।১৫) হনুমান এই সমস্ত লক্ষণ দেখিয়া ইহাকেই রাঘববনিত সীতাদেবী বলিয়া বুঝিতে পারিলেন। রামচন্দ্র সীতার যে যে লক্ষণ ও বসন ভূষণের উল্লেখ করিয়াছিলেন, হনুমান তৎসমুদয়ই মিলাইয়া দেখিলেন। জানকী সম্বন্ধে তাহার আর কোন সন্দেহই 1. না) সীতার অলৌকিক পতিপ্রেম ও ভর্তৃবাৎসল্যের কথা স্মরণ ক্টরিয়া श्नूभाप्नब्र নয়নযুগল হইতে অবিরলধারায় অশ্রজল নির্গত হইতে লাগিল । তিনি আরও চিন্তা করিলেন “জানকী রামলক্ষ্মণের বলবিক্রম বিলক্ষণ অবগত অাছেন, তজ্জন্যই বোধ হয় বর্ষার প্রাচুর্ভাবে জাহ্নবীর