পাতা:সুখশান্তির উপায় স্বরূপ যিশু-প্রণীত হিতোপদেশ.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ ] আমি নিত্য জীবনে অধিকার পাইতে পারি?” যিশু বলিলেন, আমাকে কেন মঙ্গলময় বল ? এক পরমেশ্বর ব্যতীত আর কেছ মঙ্গলময় নহে। তুমি এই আজ্ঞাসকল জান ‘ব্যভিচার করিবে না, নরহত্যা করিবে না, পরদ্রব্যাপহরণ করবে না, কুটসাক্ষ্য দিবে না, পিতামাতাকে ভক্তি করিবে ? ? তিনি কহিলেন ‘শৈশবাবস্থাবধি এই সকল আজ্ঞা পালন করিয়া আসিয়াছি। যিশু ইহা আকর্ণন পূৰ্ব্বক কহিলেন, তথাপি একটি বিষয়ে তোমার ক্রটি আছে; তোমার সমুদায় বিভব বিক্রয়পূৰ্ব্বক নির্ধনদিগকে দান কর, পরলোকে প্রচুরধন পাইবে; এবং আমার পশ্চাদ্বত্তী হও । তিনি এই কথা শুনিয়া খিন্ন হইলেন, ষেহেতু তাহার বিস্তর বিভব ছিল । যিশু তাঁহাকে বমর্ষ দেখিয়া কহিলেন, যাহারদের ধন আছে, তাহারদের পক্ষে ঈশ্বরীয়রাজ্যে প্রবেশ কি দুৰূহ ব্যাপার! ধনীর বৈকুণ্ঠে প্রবেশের অপেক্ষা বরং একটা উষ্টের সুচিছিদ্র দিয়া গমন করা অধিকতর সহজ। শ্রোতৃবর্গে কহিলেন তবে বৈকুণ্ঠ ধামে কে প্রবেশ করিবে ?” তিনি বলিলেন, মনুষ্য সম্বন্ধে উল্কা অসম্ভাব্য হইতে পারে, ঈশ্বর সম্বন্ধে মহে (৮২)। পিতর কহিলেন- ‘দেখুন, আমরা সৰ্ব্বস্ব পরিত্যাগ করিয়া আপনার পশ্চাদ্বত্তী