পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৬ ] মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া,কাৰ্য্যস্থলে অনড়ানের ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করিতেন। বিল ছিন্ন করিতেন, আর কোন কোন বিল দূরে নিক্ষেপ করত বিকটাকার মুখ ভঙ্গী প্রকাশ পূর্বক অঞ্জনা হৃদয় নন্দনের মনোহর বদনকে পরাভব করিয়া দিতেন । অধীন সাক্ষাৎ করিতে যাইলে অনেক সামান্ত্য-কৰ্ম্মচারীরাও, ডাক্তর জ্যাকসন ও কোন্সিলিডয়েন, অথবা জজ পিককের ন্যায় কাহারও সহিত সাক্ষাৎ করিবার বা কথা কহিবার অবকাশ পান না। যদি দৈবাৎ কাহারও ভাগ্যে সাক্ষাৎ লাভ ঘটে তবে প্রভু দুই একটা বাক্য প্রয়োগ করিয়াই কহেন “আমার সময় অতি অল্প আর বিরক্ত করিও না—স্বস্থানে প্রস্থান কর।” ধন্তরে প্রভূত্ব! তোর পদে নমস্কার! এক্ষণে প্রভুরা যে পরিমাণে অধীন-দিগের উপকার করেন তদপেক্ষা শতগুণ দম্ভ করিয়া থাকেন। প্রভুর প্রভুত্ব করিলে কথঞ্চিত শোভা পাইলেও পাইতে পারে, কিন্তু তাহাদিগের প্রভুত্ব-প্রিয় অধীনের অপরঅধীন কৰ্ম্মচারীর উপর এরূপ অসহ্য ও অসঙ্গত প্রভূত্ব প্রদর্শন করেন যে তাহা কাহারও সহ্য হইবার নহে। প্রভূরা অনেকে এমন নির্লজ্জ যে অধীনের প্রতি পক্ষপাতের কার্য ও নিষ্ঠুর নিৰ্দয়ের ব্যবহার করিতে কিছুমাত্র সঙ্কুচিত হয়েন না । তাহাদিগের উচিত যে উৎকৃষ্ট কাৰ্য্যবিধান করিয়া অধীন জনের ভক্তিভাজন হয়েন। তাহ অনেকে করেন না । এক্ষণকার প্রভূ মাত্রেই প্রায় অধীনের ঘূণাস্পদ, ইহার বেতন দিয়া থাকেন এই প্রশ্রয়ে অধীনের প্রতি সৰ্ব্বদাই অহঙ্কারের সহিত অসদ্ব্যবহার করেন। অসময়ে অসুস্থ অনাহারী