পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s१] অধীনকে দুর্গম স্থানে প্রেরণ করিতে কিছুমাত্র দ্বৈধ করেন না । - বিলাতীয় প্রভূরা অসঙ্গত দ্রুতভাবাপন্ন। ইহঁাদিগের মন বুঝিয়া অতি দ্রুতকাৰ্য্য নিৰ্বাহ করা কঠিন কৰ্ম্ম । পুরাতন রাম যাত্রার হনুমানেরা কখন কোন দিকে লম্ফ প্রদান করেন, তাহ দর্শকদিগকে দেখাইতে আলোক সংস্থাপন করা,যেমন আলোকধারীর পক্ষে দুরূহ ব্যাপার, সেইরূপ দ্রুতবেগী প্রভূদিগের কার্য্যের অনুগামী হওয়া, অধীনের পক্ষে অসাধ্য হইয়া উঠে । পূৰ্ব্বে প্রভুরা উচ্চ পদস্থ কৰ্ম্মচারীদিগকে সামান্ত কিঙ্করের কার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে অনুমতি করিতেন না। যদি কোন প্রধান কৰ্ম্মচারী প্রভূর সন্তোষ সাধনের নিমিত্ত সীমান্ত কিঙ্করের কার্য্য করিতে অগ্রসর হইতেন, প্রভু তাহ দেখিয়া বিরক্তি প্রকাশ করিতেন। আমরা অবগত আছি কোন স্থানে একবার এক প্রভু ভৃত্যকে ডাকিয়া কহেন “ ওরে—দর্পণ খান আন্‌” সে কিঞ্চিৎদুরে ছিল শুনিতে পায় নাই, একজন প্রধান কৰ্ম্মচারী তাহা শুনিতে পাইয়া দর্পণ হস্তে লইয়া প্রভূর সম্মুখে দণ্ডায়মান হইল। প্রভু তাহা দেখিয়া কোপের বশীভূত হইয়া আরক্তলোচনে কহিলেন “তোমার নীচ প্রবৃত্তি দেখিয়া আমি তোমাকে কৰ্ম্মচ্যুত করিলাম। তোমার দ্বারা আমার কার্য্য চলিবে না। ভূমি আমার সন্তোষার্থে সামান্ত ভৃত্যের কার্য্য করিলে কেন ? অতঃপর আমার অধীনস্থ কোন লোক তোমাকে মান্ত কিম্বা গ্রাহ্য করিবে না। তুমি অদ্যই স্বস্থানে প্রস্থান কর।” এক্ষণকার প্রভুদিগের সে ভাব নাই। প্রধান কৰ্ম্মচারী পৰ্য্যন্ত