পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ રૂ ] তাহার ত্বক ও বীজ পরিত্যাগ করিয়া ভক্ষণ করিতে হয়, সেই রূপ অতি বিখ্যাত গ্রন্থেরও (সৰ্ব্বাংশ জ্ঞানপ্রদ নহে) যে যে ভাগ জ্ঞানদায়ক নহে, তাহা ত্যাগ করিয়া পড়িতে হয় ; জ্ঞানিলোকের সহিত পাঠ্য পুস্তক আলোচনা না করিলে তাহার নিগৃঢ়ার্থ উদ্ভাবন করা যায় না । ঈশ্বরের কি বিড়ম্বন যে পুস্তক পাঠে লোককে কুপথগামী করে, সেই পুস্তক পাঠার্থ আধুনিক অনেক লোকের প্রবৃত্তি অতি প্রবল ; যে পুস্তক পাঠে সৎপথ গামী করে দে সকলের পাঠ অতি বিরল হইয়াছে ; কোন কোন গ্রন্থকার দুই এক খান পুস্তক সুচারুরূপে লিথিয়া আপনাদিগের নাম সুবিখ্যাত করিয়াছেন, আর সে প্রকার লিখিতে সক্ষম হইতেছেন না। পূৰ্ব্ব লিখিত পুস্তকের যশোগৌরবের উপর নির্ভর করিয়া তাহারা অবশেষে যাহা মনে করিতেছেন, তাহাই লিখিয়া নির্গত করিতেছেন, যদ্যপি দীর্ঘকাল পরে এক এক পুস্তক লিখিয়া বাহির করিতেন, তাহ হইলে তাহাদিগের পুস্তক অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট হইত ; লেখকেরা অনেকে, তাহ না করাতে র্তাহাদিগের লেখা উৎকৃষ্ট হয় না, যেমন যে ভূমিতে পুনঃপুন শস্য বপন করা হয় সে ভূমির ফলোৎপাদিকা শক্তি ক্রমশঃ বিনষ্ট হয়, ভূমি পতিত রাখিয়া দীর্ঘকাল কৃষিকাৰ্য্য না করিলে তাহাতে উৎকৃষ্টরূপ শস্ত উৎপন্ন হয় সেইরূপ বঙ্গদেশের যে লেখক একবার লিখিয়া দীর্ঘকাল হৃদয়ক্ষেত্রে আর কিছু উদ্ভাবন না করেন, পরে লিখিতে প্রবৃত্ত হয়েন তাহারই লেখা S)