পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 83 J পৰ্ব্ব অতি সুমধুর রসভাব পরিপূর্ণ অলঙ্কার ব্যাকরণ ও ভাষার সরলতার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া লেখক সনদর্ড কার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিয়াছেন। র্তাহার রচনা শুনিলেই সহসা তাহার চারুতা অনুভব করিতে পারিবেন। যথা “ইহা কি সামান্ত দুঃখের বিষয়, যাহাদিগের সাগর পরিথ পর্য্যন্ত সমস্ত বসুন্ধরা বশবৰ্ত্তিনী, তাহারা জীবিত থাকিতেই তদীয় মহিষীকে স্বদেষ্ণার দাসী হইয়া থাকিতে হইল। সহস্ৰ দাস দাসী যাহার অগ্র পশ্চাৎ ধাবমান হইত, তাহাকে এক্ষণে দীনবেশে সুদেষ্ণার অনুগামিনী হইতে হইল। যে দ্রৌপদী স্ব হস্তে কখন আপনারও গাত্র মার্জন করে নাই । চন্দন ঘর্ষণ এখন তাহার জীবনোপায় হইল। এই দেখুন আমার তাদৃশ স্বকোমল করতল কিণচয়ে কলঙ্কিত হইয়াছে। যে আমি কুন্তী ও আপনাদিগের হইতে কখনও ভীত হই নাই। সেই আমাকে এক্ষণে মুসৗভাবে পর গৃহে সৰ্ব্বদা সশস্ত হইয়া থাকিতে হইল। বর্ণক সুকৃত হইয়াছে কি না, রাজা পাছে কিছু বলেন, কেবল এই ভাবিয়াই দিন যামিনী যাপন করি । অতএব নাথ ! আমা অপেক্ষ পাপীয়সী পৃথিবীতে আর কে আছে বল। দ্রৌপদী এই কথা বলিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ পূর্বক রোদন করিতে লাগিলেন।” উক্ত লেখকের রামের অরণ্য যাত্র পুস্তকে সীতার উক্তিতে এইরূপ সুললিত রচনা করিয়াছেন। “দেখুন, পিতা পুত্র ভ্রাতা প্রভৃতি আর সকলেই নিজ নিজ পুণ্য পাপের ফল ভোগ করে, কিন্তু পত্নীকে স্বামীর ভাগ্য ভাগিনী হইতে হয়। লোকে রাজার পত্নীকে মহিষী ও সন্ন্যা