পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 88 ) সীর পত্নীকে সন্ন্যাসিনী বলিয়াই নির্দেশ করে, অতএব আপনি বনবাসী তপস্বী হইলে আমি অবশ্যই বনবাসিনী তপস্বিনী হইব । কি পিতা, কি মাতা, কি পুত্র, সর্থীজন, কেহই পতির তুল্যকক্ষ নহে। পতি ভিন্ন পতিব্ৰতা নারীর আর কোন গতিই নাই। এই জন্য লোকে নারীকে স্বামীর অৰ্দ্ধাঙ্গ বলিয়া থাকে। অতএব আপনি যখন, গুরুর আজ্ঞা প্রতিপালন করিতে চলিলেন, 'তখন আমিও সেই আজ্ঞা প্রতিপালন করিব আপনি যদি আজ দুর্গম গহনে যাত্রা করেন, আমি অবশ্যই আপনার অগ্রগামী হইব। কি প্রাসাদতল, কি বৃক্ষমূল, কি স্বর্গ, কি পাতাল, আপনি যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুন, আমাকে ছায়ার ন্যায় সহচারিণী বলিয়া জানিবেন । অতএব আমি আপনার সঙ্গে মৃগ-পূর্ণ দণ্ডক বনে অবশ্যই যাত্রা করিব। আমি কোমারবস্থায় পিতৃ ভবনে যেমন সুখে বাস করিতাম সেখানেও সেই ভাবে থাকিব। আপনার অনুমোদিত নিয়ম পালন করিয়ু ব্ৰহ্মচারিণী হইয়া পতির শুশ্রুষা করিব—অতএব আমি নিশ্চয়ই বন গমন করিব। আপনি আমাকে কিছুতেই নিবৃত্ত করিতে পারিবেন না। আমি ফল মূল আহার করিয়া আপনার সহিত বনবাসিনী হইব। উচ্চতর ভূধর, রমণীয় নির্বর, বেগবতী নদী ও হংস কারওব-পূর্ণ কমলিনী শোভিত সরোবর সকল নিরীক্ষণ করিয়া পরম সুখানুভব করিব। অতএব জীবিতনাথ ! আমাকে লইয়া চলুন, আমি আপনাতে রহিত হইয়া ক্ষণমাত্রও জীবন ধারণ করিতে পারিব না।” গিরীশচন্দ্র বিদ্যারত্ব মহাশয়ের দশকুমার গ্রন্থ সম্বন্ধে