পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 84 J কোন সারদর্শী কর্তৃক যেরূপ উক্ত হইয়াছে, আমি তাহা স্যমক্‌ প্রকারে স্বরূপ কথা বলিয়া অনুমোদন করি ; তিনি এইরূপ বলিয়াছেন “এই বাঙ্গালা দশকুমারের রচনা অতিশয় প্রসাদ গুণশালিনী । যাহাদিগের বাঙ্গালা ভাষায় তারতম্য বিবেচনা করিবার শক্তি আছে, তাহারা অনায়াসে বুঝিতে পারিবেন যে এরূপ প্রসাদ গুণশালিনী ও চমৎকারিণী রচনা, বাঙ্গলা ভাষার পুস্তক মধ্যে অতি বিরল।” রামকমল ভট্টাচাৰ্য্য মহোদয়ের অযোধ্যাকাণ্ডের রচনা কি মনোহারিণী, শুনিলে অন্তঃকরণ পরিতৃপ্ত হয়। কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত না করিয়া ক্ষান্ত থাকিতে পারিলাম না যথা—“মৈথিলী লজ্জিত। হইয়া বলিলেন, আর্য্যে ! আমি পতিব্ৰতা নারীর ব্ৰতাচার অবগত আছি । বীণা যেমন অতন্ত্রী হইলে বাদিত হয় না, রথ যেমন আচক্র হইলে চলিত হয় না, মীন যেমন সলিল বিহীন হইলে জীবিত থাকে না, নারীও তেমনি পতি সেবায় পরাভূখী হইলে মুখ সম্ভোগে সমর্থ হন না। পিতা মাত৷ ও ভ্রাতা প্রভৃতি কেহই পতির তুল্য হিতৈষী নহেন। আমি পরম দৈবত পতিকে অবজ্ঞা করিব, আপনি এরূপ আশঙ্কা করিতেছেন কেন ? আমি পরিণয় কালাবধি এই ব্ৰত করিয়াছি, যে ভর্তার হিতের নিমিত্ত প্রাণ পৰ্য্যন্ত পরিত্যাগ করিব।” মধুস্থদন বাচস্পতি সঙ্কলিত। “বসন্ত সেনা” এক রমণীয় গদ্য পদ্য রচনা পুর্ণ পুস্তক তাহার গদ্যভাগের কিয়দংশ শ্রবণ করুন। - - - “হায় আমি কি এতই নরাধম, এতই পাপাত্মা ও এতই