পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[8७ ] জঘম্ভের মধ্যে গণ্য হইয়া পড়িলাম। ক্ষণকাল পূৰ্ব্বে যাহাদের জীবন তুল্য স্নেহভাজন ছিলাম, সেই চিরপরিচিত বন্ধুগণ সেই মেহকারী বান্ধবগণ, আমাকে নারী বধকারী দুরাত্মা জ্ঞান করিয়া ব্যান্ত্রের স্তায় হিংস্র, মার্জারের দ্যায় লোভী, ভুজঙ্গের ন্তায় থল, কুষ্ঠার স্তায় পাপী, গৃধ্ৰুের ন্যায় ঘূণাস্পদ ও কৃতাস্তের স্তায় ভয়ঙ্কর, ভাবিয়া দূর হইতেই পরিত্যাগ করিতেছেন। হায়! সৰ্ব্বং সহ ভূত ধাত্রী বসুমতীও কি আমার ভার সহ করিতে পারিলেন না ? তবে আর কাহাকে কি কহিব, কে আর আমার ভার লইবে ? হে ধৰ্ম্মরাজ ! ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম সকলই তোমায় বিদিত, অতএব আমি কৃতাঞ্জলি ও কাতর হইয়া বিনয় করি। তুমি আমার এই অপ্রতিবিধেয় অপার বিপৎসাগরে পোত স্বরূপ বন্ধু হও, এখনই আমার জীবন গ্রহণ করিয়া উপকার কর, আর যেন, আমাকে এক পদও চলিতে না হয়, এবং এই অসহ যন্ত্রণ শূল সহ করিতে না হয়। হে মৃত্যু তুমি ভিন্ন এ সময়ে আর কেহই হিতকারী হইতে পারিবে না, আমি শরণাগত চরণানত হইতেছি, শীঘ্র আমার প্রাণ লও, এই ঘোর বিপদ হইতে পরিত্রাণ কর।” ডাক্তর যদুনাথ মুখোপাধ্যায়ের প্রণীত শরীর পালন, উদ্ভিদ বিচার ও ধাত্রী শিক্ষার মৰ্ম্মার্থ অতি উপকারক ও ব্যবহার্য্য হইয়াছে। তিনি যে এক্ষণকার অনেক লেখকের ন্যায় কাব্য কাওে হস্তার্পণ পূৰ্ব্ব বৃথা কালক্ষয় করিয়া হাস্যাম্পদ হয়েন নাই, ইহা অতি বুদ্ধিমানের কার্য্য করিয়াছেন। কাব্য কাণ্ডে খ্যাতি