পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[84 ) প্রতিপত্তি লাভ করা ঈশ্বর দত্ত বিশেষরূপ শক্তি-সম্পন্ন লোকের কাৰ্য্য, ঈশ্বর সে শক্তি যাহাদিগকে না দিয়াছেন, তাহারাও ইদানীং কবিকুলের দলভুক্ত হইয়া কবিতা দেবীকে অলঙ্কার বিবর্জিত ও পথের কাঙ্গালিনী করিয়া যথায় তথায় ভ্রমণ করান। হায় কি দুঃখের বিষয় । অতঃপর নিবেদন, হরানন্দ ভট্টাচাৰ্য্যকৃত নলোপাখ্যান অতি বিশুদ্ধ সরল ভাষায় বিরচিত হইয়াছে ; ইহাতে ব্যাকরণ কিম্বা অলঙ্কার গত কোন দোষ নাই ; বিশেষত আদি সংস্কৃত পুস্তক হইতে ইহার ভাব সকল সুনিপুণতা সহকারে সঙ্কলিত হইয়াছে, তাহার কিয়দংশ শ্রবণ করুন। (নল ) “রাজা গমন করিলে কিয়ৎক্ষণ পরে দময়ন্তীর নিদ্রা ভঙ্গ হইল। নেত্রদ্বয় উন্মীলন করিয়া দেখিলেন, হৃদয়নাথ নিকটে নাই। অমনি দশ দিক্‌ শূন্ত দেখিয়া হাহাকার করিয়া উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিলেন। প্রিয়তমকে উদ্বেশ করিয়া করুণ বাক্যে কহিতে লাগিলেন, হা নাথ! এ দুঃখিনীকে ফেলিয়া কোথায় পলাইলে ? আমি তোমা বিন আর কাহকেই জানি না। এই সংসার মধ্যে তোমা বিনা আমার আর কেহ নাই। আমি একাল পর্য্যন্ত এক দেহের স্তায় তোমার সহিত কালযাপন করিয়াছি ; কায়মনে তোমার সেবা করিয়াছি। এই দুঃসহ দুঃখভোগ তৃণ-তুল্য বোধ করিয়া তোমার সঙ্গে অরণ্যবাস আশ্রয় করিয়াছি। কিন্তু তুমি কি প্রকারে হৃদয় পাষাণৰদ্ধ করিয়া চিরসঞ্চিত কলত্র-স্নেহ বিস্মরণ পূৰ্ব্বক, এই ভীষণ মহারণ্য মধ্যে আমাকে নিদ্রিতা একাকিনী পরিত্যাগ করিয়া প্রস্থান করিলে। এই জনশূন্ত অবান্ধব স্থানে (R