পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[8b, ) আমি কাহার কাছে দাড়াইব ? কে আমাকে রক্ষা করিবে ? . তোমার অন্তঃকরণে কি দয়ার লেশ মাত্র নাই ? যদি মনে করিলেই মৃত্যু হইত ; তাহ হইলে তোমার আদর্শনে এক মুহূৰ্ত্তও জীবন রাখিতাম না। অথবা বুঝি তুমি পরিহাস করিয়া লতাবিতানে ব্যবহিত হইয়া কৌতুক দেখিতেছ ? এই পৰ্য্যন্তই ভাল ; আর পরিহাসের প্রয়োজন নাই। বিকটাকার সিংহ, শাৰ্দ্দলাদি শ্বাপদগণ ভয়ঙ্কররূপে চতুর্দিকে ভ্রমণ করিয়া বেড়াইতেছে, দেখিয়া ভয়ে আমার হৃদয় কম্পিত হইতেছে। কোথায় আছ ? আসিয়া দেখা দিয়! ভয় ভঞ্জন কর। এই যেন দেখিতে পাইলাম, আবার কোথায় লুকাইলে ? তুমি ত অতি নিষ্ঠুর ; আমার এ প্রকার বিলাপ দেখিয়া কেমন করিয়া সুস্থ মনে রহিয়াছ ? আমি আমার জন্ত ক্ষণকালের নিমিত্তও চিন্তা করি না । কেবল তোমার নিমিত্তই ভাবিতেছি ; যখন তুমি ক্ষুধায় পিপাসায় একান্ত ক্লান্ত ও পথশ্রাস্ত হইয়া সায়ংকালে বৃক্ষমূলে আসিয়া উপস্থিত হইবে ; তখন তথায় আমাকে দেখিতে না পাইলে তোমার মন কিরূপ হইবে? শুশ্ৰষ৷ করিয়া কে তোমার শ্রান্তি দূর করিবে ? কে আর প্রিয়বাক্য দ্বারা তোমার হৃদয় শীতল করিবে ? বলিতে বলিতেই শোকে বিহ্বল হইয়া ভূতলে লুষ্ঠিত হইয়া রোদন করিতে লাগিলেন। নয়নে বাষ্পধারা বহিয়া ধরাতল আৰ্দ্ৰ হইয়া উঠিল।” ছতোম প্যাচার পুস্তকের ইতিবৃত্তাস্ত নিতান্ত নিকৃষ্ট, কিন্তু প্রায় এক্ষণকার মনুষ্য মাত্রেরই কেমন একপ্রকার নীচ প্রবৃত্তি জন্মিয়াছে যে, লোকের কুৎসা পরিপূর্ণ সেই পুস্তক পাঠে তাহার