পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ so ] অনেক সুবিজ্ঞাভিমানীগণ অনেক স্থলের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য না বুবিয়া রজ্জ্বকে সর্পজ্ঞানের স্তায় আপাতত যেরূপ বুঝিরা লন, তাহা লইয়াই আপনাদিগের অগাধ পাণ্ডিত্য প্রকাশ করিয়া জনসমূহকে বিষম ভ্ৰমে মুগ্ধ করিয়া ফেলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক নিৰ্ব্বোধগণ তাহাতেই সমস্ত শাস্ত্র ভ্রান্ত মনে করিয়া প্রত্যেকেই ধৰ্ম্মশাস্ত্রের শুক সনাতন প্রভৃতি হইয়া বসেন। এক্ষণে কি বঙ্গ কি ইয়োরোপ কি অন্যান্ত দেশস্থ লোক যে বিষয় সার স্থির করিয়া লিপিবদ্ধ করেন, বিশেষ রূপে আন্দোলন করিলে তাহার অসার ভাগ সাধারণের চক্ষে প্রকাশ পাইতে থাকে। লিপিবদ্ধ শাস্ত্রাংশ সে প্রকার অসার প্রসঙ্গে পরিপূর্ণ নহে; তাহ অসার বলিয়া কেহ কোন কালে প্রতীত করিতে পারেন নাই, পরে যে কেহ (এক্ষণকার উপক্রমণিকাপাঠী ঋষিকুল ব্যতীত) পরিবেন, এ আশঙ্কাও হয় না। বালক স্ত্রী কৃষী প্রভৃতি সামান্ত লোকেরাও অধুনা শাস্ত্র শ্রবণ করিয়া তাহার প্রতি তর্ক ও পরিহাস করিতে ক্ষান্ত হয়েন না, তাহারা জানেন না যে শাস্ত্র এমন অসার পদার্থ নহে যে, তাহাদিগের অকিঞ্চিৎকর তর্ক বলে তাহা স্নান ভাব ধারণ করিবে ? শাস্ত্র স্বভাবের সহিত সামঞ্জস্য ভাবে লিপিবদ্ধ আছে, এজন্য ভাবি ঘটনার মীমাংসা-পক্ষে প্রায় ভ্রমশূন্ত । মনুষ্যকে যে শাস্ত্রের উপদেশানুসারে চলিতে হয়, সে একরূপ শাস্ত্র ও সাহিত্য নাটকাদি কাব্য আর একরূপ শাস্ত্র ; যাহা পাঠে চিত্ত বিনোদন করে, যাহার ঘটনা সকল বাস্তবিক নহে, সুতরাং তাহার উপদেশানুসারে কোন কৰ্ম্ম করিতে