পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ לס] হয় না। এক্ষণকার ভ্রান্ত লোকেরা সেই অবাস্তিক ঘটনাদি শাস্ত্রে বর্ণিত দেখিয়া ঘৃণা ও নিন্দ করেন ও তদনুসারে মনুষ্যের চলিতে হইবে বিবেচনা করেন। যাহাতে কর্তব্য কৰ্ম্মের বিধি নাহি তাহ ধৰ্ম্ম শাস্ত্র নহে; অনেকে সংস্কৃত লিপিবদ্ধ পুস্তক হইলেই তাহ হিন্দুদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্র বলিয়া স্থির করেন, এমন কি অনেকের ধারণা আছে রঘু মাদ রত্নাবলী বিক্রমোর্কশী মেঘদূত প্রভৃতি সমস্তই ধৰ্ম্ম পুস্তক। অনভিজ্ঞ খঞ্জনী-ভায়াদিগের ধারণা আছে, শাস্ত্র কিছুই নহে, উহ! পরিত্যক্ত মলিন বস্ত্রের দ্যায় অপকৃষ্ট, কিন্তু আমরা বহুজন বহুবর্ষ চিন্তা করিয়া যে বিষয়ের যেরূপ স্থির করি, সৌভাগ্য ক্রমে শাস্ত্র পাঠ কি শ্রবণ করিতে করিতে দেখিতে পাই যে, শাস্ত্র কারেরা সে বিষয় এত সূক্ষ্ম ও সুন্দর রূপে মীমাংসা করিয়া গিয়াছেন যে, তাহা অামারদিগের ক্ষীণ বুদ্ধির ধাবণায় বহুকালে উদ্ভূত হয় নাই। পরস্পরাগত শাঙ্গের নিয়মে না চলিলে সকল লোকে এত দিনে কিসে কি করিয়া আপনাদিগের অপকার করিতেন বলা যায় না ; বঙ্গবাসীরা যাহা করেন, তাহা তাহাদিগের নিজ নিজ সিদ্ধান্ত দ্বারা কিছুই হয় না, তাহারা পরম্পরা: গত শাস্ত্রের আদেশানুসারে সকলই করেন, তাহাতেই শ্রেয় হয়, এক্ষণে যিনি তাহার অন্যথা করেন, তিনি ঘোর বিপদে নিপতিত হয়েন। এক্ষণকার অনেক মহাশয় যাহা শুনিয়া করেন, তাহাও শাস্ত্রের অভিপ্রায় ; যাহা আপনা আপনি বুঝিয়া করেন, তাহ অশাস্ত্র ও অমঙ্গলদায়ক হইয়া উঠে ; নীতিশিক্ষা জ্ঞানোন্নতি প্রভৃতির অভ্রান্ত উপদেশ সমস্ত ৰে