পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[S → (; ) এমন পুত্র এ কালে অনেক দেখা যাইতেছে যে, বৎসরাস্তে কৰ্ম্ম স্থান হইতে পুত্র হুগলিতে নিজ নিবাসে আসিলে তাহার মুখমণ্ডল দেখিয়া পরিতৃপ্ত হইবেন, মাতা পথ নিরীক্ষণ করিয়া আছেন ; কি সংবাদ ; কাৰ্য্যালয় বদ্ধ হইলে কলিকাতা হইতে রেলওএ শকটে আরোহণ করিয়া নিজ অন্তঃকরণের প্রমোৰ জন্য নানাস্থান দর্শনার্থ পুত্র পশ্চিমাঞ্চলে গমন করিলেন, মাতার সহিত সাক্ষাৎ করিতে হুগলিতে বারেক অবতরণ করিতে সবিকাশ পাইলেন না। মাতার পীড়া হইলে এই মহাপুরুষেরা রীতিমত চিকিৎসা করান না । বলেন “জননীর বয়ক্রম অধিক হইয়াছে, উহাকে আর ঔষধাদি কি সেবন করাইব ? এক্ষণে উহার পক্ষে গঙ্গাজলই মহৌষধি । ভ্রাতার প্রতি ভ্রাতার ব্যবহার । অভেদ ভ্রাতৃভাব এক্ষণে আর নাই ; তবে পল্লীগ্রামে দুই এক স্থানে ভ্রাতৃপ্রণয় দেখা যায়। ভ্রাতার দুঃখে দুঃখী, ভ্রাতার মুখে সুখী হইবার দিন যে কোথায় প্রস্থান করিয়াছে, তাহার নিরূপণ নাই। ইংরাজদিগের সহবাস ও তাহারদিগের রীতির অমুকরণ করিয়া স্বভ্রাতৃ বৎসলতা কোন নির্জন গহ্বরে প্রবেশ করিয়াছে। পূৰ্ব্বে পিতা স্বর্গগত হইলে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা তাহার স্থলাভিষিক্ত হইয়া কনিষ্ঠকে পিতৃস্নেহের সহিত লালন পালন ও পিতৃবৎ কনিষ্ঠের উপদ্রব সহ্য করিতেন, কনিষ্ঠও জ্যেষ্ঠকে পিতার সন্মান ও ভক্তি কৱিতেন ; ভ্রাতৃবর্গের নীচাশয়-বনিতারা