পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ४०१ ] নিজালয়ে আনিয়া পাক কাৰ্য্যে নিযুক্ত করেন। ভ্রাতৃ-জায়। জ্যেষ্ঠ বা কনিষ্ঠা হউন, ভগিনীকে তাহার নিকট বদ্ধাঞ্জলি হইয়া থাকিতে হয়। সৰ্ব্বাপেক্ষ অপকৃষ্ট ভোজন ও বসন ভগিনীকে দেওয়া হইয়া থাকে। ভগিনী যে বিষয় সম্পত্তি লইয়া ভ্রাতৃভবনে বাস করেন, সে সকল প্রায় অনেক ভ্রাতা আত্মসাৎ করেন। ভ্রাতাই পিতার সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী। ভ্রাতৃ-ভবনে ভগিনী কেহই নহেন, পরম্পরাগত যে, শাস্ত্রের এই নিষ্ঠুর নিয়ম আছে, তাহাই ভগিনীর পক্ষে যথেষ্ট ক্লেশ-দায়ক ; আবার তাহার প্রতি এক্ষণে অনেক ভ্রাতা অতি পরের মত ব্যবহার করেন, হায় তাহারা কি দুরাচার ! ভ্রাতৃ-পুত্রের প্রতি পিতৃব্যের ব্যবহার । পিতা যে পরিমাণে পুত্রকে স্নেহ করিতেন, ভ্রাতৃ-পুত্রের প্রতি পিতৃব্যের প্রায় সেই পরিমাণে স্নেহ করিবার ক্রটি হইত না ; ইহার শত শত দৃষ্টান্ত পূৰ্ব্বে দেখা যাইত, এমন কি মহাত্মা ব্যক্তিরা নিজ সম্পত্তি পুত্র ও ভ্রাতৃপুত্রকে সমানাংশে বিভক্ত করিয়া দিতেন ; সংপ্রতি তদ্বিপরীত কাৰ্য্য প্রায় দৃষ্ট হইয়া থাকে, ভ্রাতৃ-পুত্রের পিতৃব্যের নিকট কিছুই পান না । পিতামহের কোন ত্যাজ্য সম্পত্তি থাকিলে তাহা ভ্রাতৃ-পুত্রকে না দিতে হয়, এক্ষণকার অনেক করুণাময় পিতৃব্য মহাশয়গণ অনুক্ষণ সেই যত্বই পান। ভ্রাতৃ-পুত্রকে লালন পালন করা ভদ্র লোকের অবশু কর্তব্য কৰ্ম্ম ছিল, এক্ষণে অনেক মহাত্মা তাহা করিয়া নিজ নিজ মাহায্যের গৌরব প্রচার করেন না। এক্ষণে গুরুতর > a