পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১১৯ ] লাঘব করিবার যৎপরোনাস্তি উপায় করিতেন, এইক্ষণে মাতা সত্ত্বেও কন্যারা শ্বশুরালয়ে সন্তান প্রসবের যন্ত্রণা সহ্য করেন। যে দিন কন্যা শ্বশুরালয়ে যাইতেন, মাতা মায়াতে অভিভূত। হইয়া অন্নজল পরিত্যাগ করিতেন, এক্ষণে কন্যা মাতৃ প্রকোষ্ঠ পরিত্যাগ করিলেই মাত অমনি নিশ্চিন্ত, আর কন্যা সম্বন্ধে কোন কথার উল্লেখই নাই, ধন্তরে একালের মাতা ! এক্ষণকার মাতা উচ্চমনা, সেই জন্ত মেহের বশবৰ্ত্তিনী হয়েন না, এই বলিয়া অনেকে ঐরূপ মাতাদিগকে প্রশংসা করেন ; আমরা করি না, কারণ কামিনীর কোমল প্রাণ অত কঠিন হওয়া উচিত নহে। মাতার প্রতি কন্যার ব্যবহার । পূৰ্ব্বে কন্যা, মাতাকে যেরূপ সেবা শুশ্রুষা করিতেন, সেরূপ সেবা শুশ্রষা, মাতা পরিবারস্থ কোন লোকের নিকট প্রত্যাশা করিতেন না । এক্ষণকার প্রায় কাহার কন্যা বিশেষ রূপ মাতৃসেবা করেন না । ইহঁারা মাতার নিকট কেবল অলঙ্কার ংগ্ৰহ করিতে যত্ন পান ; কন্যা সন্ততিরা শ্বশুরালয়ে যাইয়া কেবল মাতার আদর্শন স্মরণ করিয়া রাত্রদিন আশ্রপাত করিতেন । কতদিন পরে মাতার সহিত সন্দর্শন হইবে, তাহার দিন গণনা ও র্তাহার আদর্শনে মাতা কিরূপ ব্যথিত হইয়াছেন, অন্তঃকরণে অনবরত সেই আন্দোলন করিতেন। কন্যারা এক্ষণে শ্বশুর গৃহে গিয়া অল্পদিনের মধ্যে মাতার কথা বিস্মরণ হইয়া যান, মাতার মঙ্গল সমাচার লইতে বা জানিতে মনে থাকে না। কত কষ্টে তাহাকে মাতা প্রতিপালন > S