পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
সুলোচনা কাব্য।

আমার অনিষ্ট সূচনা করিতেছ, আমি একাল পর্য্যন্ত তাহার কোন সূত্র অন্বেষণ করিয়া পাইলাম না। সেই অনিষ্ট বিশেষরূপে হৃদয়ঙ্গম না হইলে, আমি কদাচ ঐ মাতৃহীন বালক দুটীর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ কি উহাদের কোন প্রকার অনিষ্ট চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইতে পারিব না। তোমরা যদিও আমার হিত চেষ্টা করিতেছ, তথাপি আশু আমার নিকট তাহা অহিতরূপে প্রতীয়মান হইতেছে; বলিতে কি, আমার প্রাণ অপেক্ষা, শ্বেতও বসন্ত অধিক প্রিয়। লাবণ্যময়ীর এরূপ বাক্যপরম্পরা শুনিয়া রেবতী কৃত্রিম কোপ প্রকাশ করিয়া কহিল, তোমার ইচ্ছা! আমাদের কি? আমরা নয় তোমার কাছে আর না থাকিব। যখন শ্বেত বয়ঃপ্রাপ্ত হইবে, মহারাজ তাহাকে রাজ্যভার দিবেন, যখন সমস্ত আধিপত্য ও ঐশ্বর্য্য তাহার হস্তগত হইবে, যখন শ্বেতের স্ত্রী রাজমহিষী হইবে, তখন কি আর আমরা দাসীর দাসী হইয়া থাকিব, তাহ কদাচ হইবে না; “যাক্‌প্রাণ থাকুক মান” আমরা এ প্রাণ থাকিতে তাহা সহ্য করিতে পারিব না। লাবণ্যময়ী, রেবতীর উত্তেজক বাক্যে ঈর্ষ্যার বশবর্ত্তী হইয়া কহিতে লাগিল, আমি কি