অষ্টাদশোহুধ্যায়ঃ । ভাগদ্বয়ং স তাং পশ্চাদেকং দিমু বিবর্জয়েং যত ইস্রাদিমন্ত্রৈশ চতুর্ভিন্তু যথাক্রমম । ৩৬ । অবগাহ জলে পশ্চাৎ জীয়ে চৈবে পবিশ্ব চ। : অবশিষ্টেন ভাগেন মন্ত্রৈশগলেপয়েৎ ক্ৰমাৎ ॥ অক্ষিভ্যামিতি মন্ত্রেণ মুখমালেপয়েন্ধুদ্ধঃ। গ্রীবাভ্যামিতি চ গ্রীবাং তল্লিঙ্গেন তথা ভুজে শরীরং যজ্ঞমুক্তাথ হৃদয়ং পরিলেপয়েৎ । নাভিমানন্দনন্দেতি শিষ্ট্রং মুগ্ধ বিনিক্ষিপেৎ ॥ মূৰ্দ্ধানমিতি মন্ত্রেণ তিলদুৰ্ব্বাক্ষ শদিকম্। হিরণ্যশৃঙ্গমিত্যুক্ত তীৰ্থং সম্প্রার্থ বুদ্ধমান । জপেচ্ছদ্ধমতিঃ পশ্চাৎ মৃত্তঞ্চৈবাঘমৰ্ষণম্। দ্বিপদাঞ্চ জপেদেবীং সৰ্ব্বপাপপ্রণাশনীম ॥৪১ ৷ ইদস্তু বারুণ স্নানং ময়মনমথোচ্যতে। ৪২ ৷ আগ্নেয়ং ভস্মন স্নানং বায়ব্যং রজস গবাম্ । । দিব্যমাতপবর্ষেণ তৎ তু কাৰ্য্যমনস্তরম্ ॥ ৪৩ ৷ আহৃত মৃৎপিণ্ড জুই ভাগে রাখিয়া গায়ত্রী দ্বারা প্রেক্ষিত করিবে । অনস্তর এক ভাগ ইত্ৰাদি মন্ত্ৰচতুষ্টয় দ্বারা চতুদিকে যথাক্রমে ত্যাগ করিয়া জলে অবগাহনপূর্বক তীরে বসিয়া অবশিষ্ট মুক্তিকভাগ বক্ষ্যমাণ মন্ত্রযোগে ক্রমে আলেপন করিবে । অভিজ্ঞ ব্যক্তি “অক্ষিভ্যামৃ” ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা মুখালেপন, “গ্রীবাভ্যাম্” ইত্যাদি মন্ত্র দ্বার। গ্রীবালেপন, “তল্লিঙ্গেন” ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা ভুজাবলেপন, “শরীরং যজ্ঞমৃ” ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা হৃদয়ালেপন, “আনন্দনন্দ” ইত্যাদি মন্ত্ৰে নাভি আলেপন এবং “মুৰ্দ্ধানমূ” ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা অবশিষ্ট মৃত্তিক ও তিল দূৰ্ব্বা অক্ষত ইত্যাদি মস্তকে নিক্ষেপ করিবে। অনস্তর বুদ্ধিমান গৃহী “হিরণ্যশৃঙ্গমূ” ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা তীর্থ প্রার্থনা করিয়া, গুপ্তচিত্তে অঘমর্ষণস্থজ জপ ও সৰ্ব্বপাপপ্রণাশিনী দ্বিপদী গায়ত্ৰী জপ করবে। ইহা বারুণমান এবং মন্ত্রমান। আরও কথিত আছে, ভস্ম দ্বারা যে স্নান, তাহ আগ্নেয় । গোধুরোদ্ধত ধূলি দ্বারা যে স্নান, তাহা বায়ব্য । আতপ ও বৃষ্টিযোগে যে স্নান, (సి আর্জে বাস গঙ্গয়ানস শিস্তিন। স্নানানাঞ্চৈব সৰ্ব্বেষাং মানস স্নানমুত্তমম ॥৪৪ স্নাত্বাথাচম্য বিধিবৎ তৰ্পয়েচ্চ সুরান পিতৃন। পুনরাচম্য বিধিনী মর্জনঞ্চ সমাচরেং । ৪৫ দদ্য জলাঞ্জলিং পশ্চাৎ সবিত্রে রুদ্ররূপণে । ততে দর্ভাসনে স্থিত্ব। গায়ত্ৰীং প্রজপেদদ্বজঃ ত্রৈবর্ণিকানাং সৰ্ব্বেষাং গায়ুত্রী পরম গতিঃ ॥৪৭ যদুগায়ত্র্যাঃ পরং তত্ত্বং দেবদেবো মহেশ্বরঃ । ইতি জ্ঞাত্বা জপেদ্বিদ্বান গায়ক্র্যা: ফলমপুতে যে হস্তথা তু মনুতে গায়লীং শিবরূপিণীম্। পচ্যতে স মহাঘোরে নরকে কল্পসংখ্যয় ॥ ৪৯ পাদশ্চিত্বারে গায়ল্যা বেদাশ্চাত্বার এব তে । বিরঞ্চবিষ্ণুরুদ্রেশা; পাদানাং দেবতা: ক্ৰমাৎ এবং জ্ঞাত্ব। বিধানেন গায়লীং বেদমাতরম্ । জপেষ্মাহেশ্বরং জ্যোতিনিত্যমেব প্রকাশতে ॥ উপতিম্ভেদথদিত্যং রুদ্ররূপিণমব্যয়ম্ তাহা দিব্য । ইহার পর অস্তবিধ মান আছে । যাহা অবিস্ত্র দ্বারা সম্পাদন করিতে হয় শিবচিস্ত মানস-স্নান । সকল স্নানের মধ্যে মানসমানই উত্তম । যথাবিধি স্নান, আচমন, দেবপিতৃতর্পণ এবং পুনরiচমন করিয়া বিধিপূৰ্ব্বক মাৰ্জ্জন কারবে । পরে রুদ্ররূপী স্থর্যাকে এক অঞ্জলি জল দিবে। তৎপরে কুশাসনে উপবিষ্ট হইয়া, দ্বিজগায়ত্রী জপ করিবে । গায়ত্রীই ত্রিবর্ণের পরমগতি দেবদেব মঃেশ্বরই গায়ত্রীর পরমতত্ত্ব, ইহা বিবেচনা করিয়া জপ করিলে, সেই জ্ঞানীর গায়ত্রীফল লাভ হয় ৩২-৪৮ যে ব্যক্তি শিবরূপিণী গায়ন্ত্রীকে অন্ত প্রকার মনে করে, তাহার কল্পসংখ্যায় নরকভোগ হয়। গায়ত্রীর পাদচতুষ্টয় চতুৰ্ব্বেদই , ব্রহ্ম, বিষ্ণু, রুদ্র এবং ঈশ্বর এই পাদচতুষ্টয়ের যথাক্রমে দেবতা। এইরূপ জানিয়া বিধপূৰ্ব্বক বেদমাতা গায়ত্রী জপ করিলে, নিত্য শৈবজ্যোতি প্রতিভাত হয়। বেদ-ইতিহাসসম্ভূত ভক্তিস্বচ স্তব এবং মন্ত্র দ্বারা রুদ্ররূপী অব্যয় অাদিত্যের উপাসনা করবে।
