পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য বঙ্কিমচন্দ্র ও তার চারিদিকের সাহিত্যিকমণ্ডলী একদিন বাঙ্গলার সাহিত্যাকাশ উদ্ভাসিত করে রেখেছিলেন। কিন্তু মানুষ চিরজীবী নয়, তাদের কাজ শেষ করে তারা স্বৰ্গীয় হয়েছেন। তাদের প্রদর্শিত পথ, তাদের নির্দিষ্ট ধারার সঙ্গে নবীন সাহিত্যিকদের অনৈক্য ঘটেছে —ভাষা, ভাব ও আদর্শে। এমন কি, প্রায় সকল বিষয়েই। এইটেই অধঃপথ কিনা, এই কথাই আজ ভেবে দেখবার। আর্টএর জন্যই আর্ট, এ কথা আমি পূৰ্ব্বেও কখনও বলিনি, আজও বলিনে। এর যথার্থ তাৎপৰ্য্য আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। এটা উপলব্ধির বস্তু, কবির অন্তরের ধন । সংজ্ঞা নির্দেশ করে অপরকে এর স্বরূপ বুঝান যায় না। কিন্তু সাহিত্যের আর একটা দিক আছে, সেটা বুদ্ধি ও বিচারের বস্তু । যুক্তি দিয়ে আর একজনকে তা বুঝান যায়। আমি এই দিকটাই আজ বিশেষ করে আপনাদের কাছে উদঘাটিত করতে চাই। বিষ্ণুশৰ্ম্মার দিন থেকে আজও পর্য্যন্ত আমরা গল্পের মধ্য থেকে কিছু একট। শিক্ষা লাভ করতে চাই । এ প্রায় আমাদের সংস্কারের মধ্যে এসে দাড়িয়েছে। এদিকে কোন ক্রটি হ’লে আর আমরা সইতে পারিনে । সক্রোধ অভিযোগের বান যখন ডাকে, তখন এই দিককার বাধ ভেঙ্গেই তা’ হুঙ্কার দিয়ে ছোটে । প্রশ্ন হয়, কি পেলাম, কতখানি এবং কোন শিক্ষালাভ আমার হ’ল । এই লাভালাভের দিকটাতেই আমি সৰ্ব্বপ্রথমে দৃষ্টি দিতে চাই। / মানুষ তার সংস্কার ও ভাব নিয়েই ত মাহুষ ; এবং এই সংস্কার ও ভাব নিয়েই প্রধানতঃ নবীন সাহিত্য-সেবীর সহিত প্রাচীনপন্থীর ংঘর্ষ রেধে গেছে। সংস্কার ও ভাবের বিরুদ্ধে সৌন্দৰ্য্য হুষ্টি করা bペり