পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゞ8ぐ。 ধfহার হস্তম্পর্শে ইহা এত পুণ্যময় গন্ধময় হইয়া উঠিয়াছে—তাহাকে স্মরণ করিয়া শরং শ্রদ্ধাপুর্ণচিত্ত্বে মস্তক অবনত করিলেন । আর যেই যাহা বুঝুক, শরৎ পা কুমারাকে ভুল বুঝেন নাই । এ মাল্য যে রাজকুমাবার বরমালা নহে, জয়মাল্যোপহার, তাহ তিনি ঠিকই বুঝয়ছিলেন । ভুল বুঝিবার জষ্ঠ যেরূপ কা গুজ্ঞানশৃষ্ঠ আত্মম্ভরিতার প্রয়োজন—শরতের স্বভাবে সেরূপ &1স্থ্যকর গৰ্ব্বভাবের বিশেয অভাব । জ্যোতিৰ্ম্ময়ী রাজকুমারী, SSBBBBBS BBSBBS BBBB BBBBB S মহৎকার্য্যেই তাঙ্গর সমস্ত মন:প্রাণ উৎসগীরুত ; শরতের মত এক জন নগণ্য সাধারণ লোকের প্রতি তাহাব যে প্রেমে দ্রেক গুঠতে পারে ইতা তাহার কল্পনারও অগোচর,ঠঙ্গার উপব তাঙ্গার নিজের হৃদয়ে ও এ ক্ষেত্রে প্রেমের চাঞ্চলা নাই । অতএব রাজকুমারীর প্রতি ঠি। হাল ব্যবহার এক দিকে শ্রঞ্চ-সন্মানপুর্ণ, অন্য দিকে বেশ নিঃসঙ্কোচ, স্বাভাবিক । এই শক্তিমন্ত্রী রমণীর সান্নিধ্য তাখার সখ্যতা, তাহার প্ৰশংসা শরতের ক্ষত পদয়ে rধ মহৌষধ-সুধা ঢালিয়। ছিল, সে জন্য রাজকুমারীর প্রতি তিনি আন্তরিক ভাবে কতজ্ঞ । হাসিকে কি শরৎ ভুলিয়াছেন ? এত শীঘ্ৰ কি ভোলা যায় ? কিন্তু তাহfর উপেক্ষিত সৃদয় বিষ্ণুfত দেবের নিকট যে কাতর পার্থনা জানাইয়াfছল, তাহ। একেবারে অগ্রাহ হয় মাষ্ট । রাজকুমারীর সখীত্বের আশ্রয়ে তিনি বল পাইয়াছেন, ভুলিবার নূতন পথ চিনিয়াছেন। উপেক্ষিত প্রেমিকেল ও জীবন বৃথা যায় না, কম্মের পথে তাঙ্গ সার্থক হইয়া উঠে ;– রাজকুমারী তাঙ্গকে এই শিক্ষণ দিয়াছেন—তিনি তাহার নমস্তা দেলী । বিধান্ত্রের দিনে হাসি ষে বনফু’টি শবংকে পবাইয়া দিঘাছিল, সেটি শরতের বুকের পকেটেষ্ট থাকিত, —তাহ বাহির করিয়া লষ্টয়া তিনি দেখি.েiন, বুকের চাপে ফুলটি পোষত ইয়া গণছে—তবু যেন ঠিক তেমনটিষ্ট আছে, একটিও দল ইহ:র পসে নাই । রাজকুমারী-৮ত্ত ফুলমাণ্যেৰ দোলন গুচ্ছের সহিত সেই ফুলটি তিনি সযত্নে বঁাপিয়া লইলেন । তাহার পর মালাগাছি—অতি সাবধানে দেয়ালের হুক হক্টতে খুলিয়া একটি শূন্ত কাগজের বাক্সে পুরগেন । বাক্সটি যখন নিরাপদে ট্রাঙ্কে উঠিল, তখন র্তাহার প্যাকিং ও শেষ হইল, তিনি বারান্দায় আলিঙ্কা দাড়াইলেন। রাজকক্ষের পার্শ্বেই শরতের ঘর—রাজকুমারী থাকেন অন্তঃপুরে—অস্তঃপুরপ্রাসাদের চূড়ামাত্র স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী এখান হইতে নজরে পড়ে ; সেই চুড়ার দিকে চাহিয়া, মন্দিরমধ্যে বিরাজিত দেবীমূৰ্ত্তির মহিম। তিনি কল্পনা করিলেন । তখন কি আর কাহাকেও তাহাব মনে পড়িয়ছিল । যেখানে ব্যথা—সেইথানেট প্রথমে হাত পড়া স্বাভাবিক—কিন্তু তবুও হৃদয় সাবধানতা অবলম্বন করিতে চায় । রাজকুমারী কিন্তু তখন অন্তঃপুরে ছিলেন না। তিনি শরতের ঘরের পাশেই-রাজার নিভৃত উপবেশন কক্ষে জানালার সম্মুখে দাড়াইয়া পিতার আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। রাজা মধ্যাহ্নের পর যেখানেই গমন করুন, যে কাজেই ব্যস্ত থাকুন— এষ্ট সময় প্রায়ই ফিরিয়া আসিয়া কন্যাকে লইয়া মোটরে বেড়ান্টতে যান। আজ তিনি এখনও ফেরেন নাই – রাজকুমারী একটু উৎকণ্ঠিত চিত্তে পথ নিরীক্ষণ করিতেছিলেন। সে দিনকার সেই আকস্মিক বিপদের পব হইতে—রাজার আসিতে বিলম্ব দেখিলেই জ্যোন্তিৰ্ম্মন্ধীর মনে একটু ভাবনা জন্মে। বেলা পড়িয়া আসিয়াছে। অপরাহুকাল প্রভাতের মতষ্ট অরুণ-বাগে সুরঞ্জিত করিয়া স্থৰ্য্যগোলক গাছপালার মধ্য দিয়া পশ্চিমপ্রান্তে ঢলিয়া পড়িতেছে । ভদ্রের ভরা নদীর বক্ষে---লাল আলোর বিদ্যুৎ-লহরী চমকিয়া যাইতেছে। মধ্যাহে এক পশলা বৃষ্টি হইয়া গিয়াছে—গাছপালা মাঠ এখন ও আর্দ্র ; মাঠের ধারে, গাছের শাখায়, আটচালার গায়ে সজ্জিত উৎসবের শুষ্ক ফুলমাল সহসা যেন নবীন চইয়া ছলিয়া উঠিয়াছে । মাঠে আজ খেলা চলিতেছে না, ব্যায়াম-উৎসবের পর দুইদিন ছেলের ছুটি পাইয়াছে। তবুও মাঠ শূন্ত নহে, ছেলের দল—মাঠ, তাম্বু, আটচালা অধিকার করিয়া ঘুবিয়া ফিরিয়া বেড়াইতেছে । হারমোনিয়মের সঙ্গে হঠাৎ সেই গানটি আটচালার ভিভব ইষ্টতে ধ্বনিত হষ্টয়া উঠিল ভিক্ষাং দেহি জননী গে৷ ভরিয়ে দে ঝুলি বোধ হয় সেদিনকার মত তাহারা আবার অভিনয় আরম্ভ করিল। গানটি শুনিতে শুঙ্গিীত রাজকুমারী ক্ষণকালের জন্য অন্ত চিন্তা ভুলিয়া গেলেন । সার্থকতগর আনন্দে তাহার হৃদয় পূর্ণ হইয়া উঠিল। কিন্তু মাঠে সাজান শুষ্ক ফুলগুলির মত সে আনন্দ পরমুহূর্বেষ্ট মান হইয় পড়িল । জ্যোতিৰ্ম্মীর বাসনা পুর্ণ হইয়াছে সত্য,—তাহার ব্যায়াম-সমিতিতে আজি কত লোক, কত যুবক, কত মুনিপুণ, —খেলোয়াড়। কিন্তু তথাপি কয়জন ইহারা ?—