পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3షి ఆ একটা চাপা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিলেন, সঙ্গে সঙ্গে আত্মতিরষ্কারের ক্ষীণ হস্তরেখা উচিার ওষ্ঠাধরে ফুটিয়া উঠিল –"এত রাত্রি পর্যন্ত রাজকুমারী এখানে षांकिएनन, ७शन ङ्कल कठिtणन छिन कि कब्रिञ्चl ?* সেই রায়েষ্ট উrহার সামান্ত একটু জলভীব হটল ; কিন্তু পরদিন সকালে ক্ষতস্তানে যথাবিধি ঔষধাদি লেপনের পর শরীর এন্দুব স্বচ্ছন্দ বোধ করিলেন যে, সন্ধা কাrল রাজা বাহাদুরকে ট্রেণে পর্য্যন্ত উঠাষ্টয় দিয়া আসিলেন । বাড়ী ফিরিয়া কিন্তু অবসন্ন হষ্টয়া পড়িলেন । রাত্রিকালে জরও বেশ প্রবল লইয়া উঠিল। তথন নিজের চিকিৎসা আর নিজের হাতে রাখা যুক্তিযুক্ত জ্ঞান না করিয়া অন্ত ডাক্তাবের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। সৌভাগ্যক্রমে রাজার এক জন প্রবান ডাক্তার আত্মীয় এই সময় বায়ু-পরিবর্তন-উপলক্ষে প্রসাদপুরে আসিয়া প্রাসাদেই বাস করিতেছিলেন । তিনি দেখিয়া শুনিয়া শরৎকুমারের সহিত একমত হটলেন । বিষাক্ত কুকড়ির আঘাত হষ্টতেই যে ক্ষতের উৎপত্তি তিনিও এইরূপ অনুমান করিয়া আশ্বাস প্রদানে কহিলেন, ‘ক্ষতের লক্ষণে বুঝা যায়" উহ! সাংঘাতিক বিব নহে। সম্ভবতঃ পশুবধের পর কুকড়িখানা ভ1লন্ধপ পরিস্কৃত কয় নাই---প্রধানতঃ এই কারণে, তাহা ছাড়া রোগী সুস্থ সবল বলিয়াও এই বিষয়ে কার্যাফল প্রকাশে বিলম্ব হইয়া পড়িয়াছে। যtছাহউক ভরের কোন কারণ নাই। সামান্ত অস্ত্রচিকিৎসা দ্বারাই রোগী, সম্ভবতঃ আরোগ্য লাভ করিবেন।” অস্ত্রোপচার হইবার পর শরতের অবস্থা প্রথম দিন খুব খারাপ ছিল, দ্বিতীয় দিন অপেক্ষাকৃত ভাল, কিন্তু এখনে আশামুরূপ ভাল নয় । সেবার ক্রটী নাই—অনাদির সহিত আরও দুই একটি বালক তাঙ্গর শুশ্রুষায় নিৰুক্ত। কিন্তু অনাদি যেরূপ প্রাণপণে সেবা করিতেছে, মাতা ভগিনী স্ত্রী তদপেক্ষা অধিক যত্নে সব। করিতে পারে না । দ্বিতীয় রাত্রিও কোনরূপে কাটিয়া গেল। তৃতীয় সন্ধ্যায় ডাক্তার প্রফুল্লমুখে তরণী দিয়া গেলেন। জ্যোতিৰ্ম্ময়ী অতদিনের দ্যায় সে দিন ও সেই সময়ে ধীরে ধীরে বারান্দায় আসিয়া দাড়াইলেন । গৃহে তখন অনাদি ছাড়া আয় কেহ ছিল না । সে নিকটে আসিয়া বলিল, “আসবে দিদিমণি ঘরে ? কেউ নেই এখন,—এস।” বালিকা ৰালল, “একটু ভাল দেখছ, অনাদি ।” “নিশ্চয়। আজ আর তেমন ছটফট করছেন স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী ন,—তেমন অচেতন-ভাবও নেই, সহজভাবে যেন ঘুম্ ছন —এস না রাণীদিদি ঘরে—আজ দেখে খুী হবে ।” জ্যোতিৰ্ম্মী শিয়রে আসিয়া দাড়ান্টলেন । রোগীব মুগ্ধ প্রশান্ত, তিনি যেন কি স্বপ্ন দেখিতেছিলেন,—তন্দ্রাবোরে বলিলেন, “হাসি তুমি ? আর ঐ তীবাটি, ঐ উজ্জ্বল,—তোমার চেয়েও উজ্জল বড় তারাটি—কে ও ? চেন না, হাসি ? জ্যোতিৰ্ম্মী উনি রাজকুমারী।” জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর অশ্ৰুজল সম্বরণ দুঃসাধ্য হইয় উঠল । তিনি আত্মবিস্কৃত হইয়া রোগীর কপালে স্নেহহস্ত বুলাইলেন। সে স্পর্শে শরৎ চক্ষু উন্মীলিত করিলেন, রাজকুমারীর দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া মৃদু দুৰ্ব্বল কিন্তু স্বাভাবিক স্বরে কহিলেন, “তুমি রাজকুমারি ?” রাজকুমারী আহলাদগদগদ কণ্ঠে কহিলেন, “চিনিয়াছেন ?” একটু বিস্ময় প্রকাশ করিয়া শরৎ কহিলেন, “চিন্‌ব না কেন ? আমার কি হয়েছে ?” তিনি শয্যায় উঠিয়া বসিবার চেষ্টা করায় রাজকুমারী তাঙ্গকে নিবৃত্ত করিয়া কহিলেন, “কিছু হয় নাই, কিন্তু উঠবেন না, আপনি ঘুমান আমি যাই।” *যাবেন না রাজকুমাৰী, বসুন আপনি ৷” তাহার রুগ্ন কণ্ঠ একান্ত অনুরোধপুৰ্ণ । অনাদি নিকটে একখানা চৌকি আনিয়া দিল, জ্যোতিৰ্ম্ময়ী বসলেন । শরৎ বলিলেন, “রাজকুমারি ?”— বলিয়া চক্ষু মুদ্রিত করিয়া নিস্তব্ধ হইয়া রছিলেন। জ্যোতিৰ্ম্ময়ী ভীতস্বরে কহিলেন,— “ডাক্তার-দ{ }” শরৎ আবার কথা কহিলেন, বলিলেন, “রাজকুমারী বড় দুর্বল, বড় একলা মনে হচ্ছে, আপনার হাতখানি পিন।” রাজকুমারী র্তাহার হাতথানি ধরিলেন, অশ্রুতে সে হাত সিক্ত হইয়া উঠিল ; অনাদিও বালকের ন্তায় মুখ ঢাকিয়? কাদিতে লাগিল । জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর হাতখানি হাতের মধ্যে ধরিং রোগী আবার ঘুমাষ্টয়া পণ্ডিল। কিছুক্ষণ পরে কতখানি অশস্তে আস্তে টানিয়া লইয়। জ্যোতিৰ্ম্ময়ী ধীরপদে গৃহত্যাগ করিলেন। পঃদিন শরৎকুমারের জর ত্যাগ হইল ;–বিপদমেঘ কাটিয়া গেল । - রাজা আসিয়া দেখিলেন, শরৎকুমার সারিয়া উঠিতেছেন। তিনি খবর দিলেন যে, প্রসাদপুরে কনফারেন্স বসিতে প্রায় মাস খানেক বিলম্ব হইয়া পড়িল । তৎপূৰ্ব্বে বাঙ্গালার প্রধান প্রধান পলিটিকাল নেতাগণ সকলে এখানে সন্মিলিত হইতে পাৰিবেন না। শুনি জ্যোতিৰ্ম্মী খুলীই হইলেন,