পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়ীর আশীৰ্ব্বাদ করিবার অভিপ্রায়ে নিজের ষ্টীমলঞ্চে জলভ্রমণে জমীদারী কাকদ্বীপ পরিদর্শনে আসিলে সেই সময়ে বtলকটিকে তিনি এক দিন তীরদেশে লাভ করেন । শিশুহার করুণাময়ী এই শিশুটিকে পাইয়। দেবাশীৰ্ব্বাদ-স্বরূপ ইহাকে বক্ষে তুলিয়া লইলেন । তাছার পর তিনি অনেকগুলি সস্তানের মাত হইয়াও ইহাকে জ্যেষ্ঠপুত্রতুল্যই স্নেহচক্ষুতে দেখেন । সাগরলব্ধ বলিয়াই তাহার নাম হইয়াছে সাগরদত্ত । ভৈরবীয় কথায় করুণাময়ীর সহসা মনে হইল, তবে কি আমার সাগরদত্ত এই ভৈরবীরই সস্তান না कि ! डिनि ७क्छ्रे लभ व्हेब्र! श्राधिग्न थाभिग्ना বলিলেন, “যে ছেলেটিকে আপনি দেখলেন, ভৈরবীমা, সেটিকে আমি গর্ভে ধরিনি, সাগরতীরেই আমরা ওকে কুড়িয়ে পেয়েছিলুম ” ভৈরবী চোখ বুজিলেন, কিছু পরে চোখ খুলিয়া বলিলেন, “কিন্তু সেটি যে আমার কন্যাসগুীন।” বলিয়৷ ক্ষিপ্তের মত উঠিয়া তিনি চলিয়া গেলেন। ● প্রায় দশ মাস কাল ডুনের জাহাজখানি জলমগ্ন হইয়াছে । ইহার মধ্যে সাগরদত্ত ও বারুণী উভয়েরই পিতামাতার চোখের জল যদিও অনেকট। শুকাইয়। অtসিয়াছে, কিন্তু মনের অtণ্ডন এবং প্রাণের আশা এখনও নিঃশেষে নিবিয়া যায় নাই। মৃতের তালিক{য় তাহার নাম না মেলায় হতাশ্বাসভর প্রাণও মাঝে মাঝে আশাদীপ্ত হইয়া উঠিতেছে। কিন্তু জীবিতের লিষ্টেও ত তাহার নাম নাই। সে বাচিয়া থাকিলে fক কোন না কোন রকমে সে খবরটা মিলিত না, এই তাবিয়া সেই অtশালোক ও আবার নিরাশক্ষিীণ হইয়া পড়িতেছে । এইরূপ আtশানিরাশার স্বপ্নপ্ররোচনায় কখনও বিশ্বাসে, কখনও সন্দেহে, কখনও ধীরচিত্তে, কখনও অধীর প্রাণে র্তাহারা তগবৎপ্ৰসাদ ভিক্ষা করিতেছেন । নিখিলটীদের কেবলই মনে পড়ে সেই পুরাতন দিনের কথা,—ষে দিন তিনি সাগরকে তীর হইতে কুড়াইয়া আনিম্ন স্ত্রীর তাপিত বক্ষ জুড়াইয়। দিয়াছিলেন। কি সুন্দর দেখিতে ছিল শিশুটি । তাহার মাথtভর কালে চুল, জলে ভিজিয়া যত্ন بناه ـ لأن ২১৭ কুঞ্চিত অলকদামের ন্যায়ই গুচ্ছে গুচ্ছে তাহার মুখের উপর আসিয়া পড়িয়ছিল। প্রাতঃস্থৰ্য্য বালকের রূপমুগ্ধ হইয়াই যেন সস্নেহে তাছার যত কিছু সোনার রং তাহার অঙ্গে ঢffলয়া দিয়tfছলেন । শিশু তীরদেশ আলো করিয়া ঘুমাইতেছিল। আহা । কাহার শিশু এ । কেমন করিয়া এখানে আসিয়া পড়িল ? বুঝি বা কোন নৌকাডুবি হওয়াতে বালক জলে পড়িয়ছিল ; বরুণদেব তাহীকে রক্ষা করিয়া তীরে রাখিয়া গিয়াছেন । শিশুকে কোলে তুলিয় তাহার সে দিন এইরূপ কথাই মনে. হইয়াছিল । আজ মনে হইল, সাগয়দেব শিশুকালে যাহাঁকে রক্ষা করিয়াছেন, যৌবনেও কি তাহাকে রক্ষা করিবেন না ? তাহা যদি না করেন, তবে ষে র্তাহীর দয়া অর্থশূন্ত হইয় পড়ে । সাগরদত্তের কথ। মনে করিতে করুণাময়ীর বেশী করিয়া মনে পড়িত ভৈরবীকে । তিনি প্রাণ ভরিয়া যে আশীৰ্ব্বাদ করিয়াছেন, তাহ! কি মিথ্যা হইতে পারে ? বালকের কপালে ভিলকরেখা টানিয়া দির। তিনি ৰে অভয় প্রদান করিয়াছিলেন, দেৰীতুল্য ভৈরবীর সেই ‘ম। ভৈঃ’ বাক্য কি নিষ্ফল হইবে ? কখনই না-কখনই না । তাহ হইলে সাধন, সিদ্ধি, দৈবশক্তি সবই মিথ্যা । সাগরকে হারাইয় বারুণীর মাতারও তাহার শৈশবকালের কথাই অধিক করিয়া মনে পড়িত। তখনও অরুন্ধতীর কোন সস্তানাদি জন্মে নাই। তিনি এই স্বন্দর বালকটিকে দেখিবামাত্র করুণাময়ীর সহিত “বেরান” পাতাইয়া লইলেন। বলিলেন, “এই ছেলেকেই জামাই করব আমি /* করুণাময়ী বfললেন, "ছেলের যদি তোর মেয়েকে পছন্দ না হয় ?” কথাটা অরুন্ধতীর হস্তকর লাগিল, বলিলেন, “ত হবে না বৈ কি ! দেখে নিস তখন । তোর ছেলের নাম সাগর, আমার মেয়ের নাম রাখব আমি বারুণী, জানিস ভাই ।”

  • কেন, সাগরিক নাম ত আরও ভাল।” অরুন্ধতী বলিলেন, “আরে তো ছেলের ৰেন সাগরে জন্ম হয়েছে, আমার মেয়ে.ত আর সাগরে জন্মাবে না। তুই যদি ছেলের নাম বরুণ রাখতিস, তা হ’লে বয়ঞ্চ আয়ও ভাল হ’ত, একটু নতুন রকম শোনাত। সাগর নামটা কিন্তু বড় পচা ।”