পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ এইরূপ রহস্তlলাপের মধ্যে অরুন্ধতীর পরে পরে কগু-সন্তানের পরিবর্তে দুইটি পুত্র-সন্তান জন্মিল । করুণাময়ী বলিলেন, “তুই আমাকে দেখছি ফাঁকি দিলি, এখনও ত তোর মেয়ে হ’ল না ।” কিন্তু সাত বৎসর পরে তাহদের অtণা ও ইচ্ছ। সফল করিয়া বারুণী জন্মগ্রহণ করিল। র্তাহীদের এত দিনকার অাশ। অভিলাষ কি সত্য-সত্যই ব্যর্থ হইয়া যাইবে ? এই সব কথা ভাবিতে ভাবিতে র্তাহারও মনে পড়িয়া যায় ভৈরবীকে । হায় রে, তাহার অভিশাপবাক্য ত ফলিয়াছে, তাহার আশীৰ্ব্বচন কি ফলিবে না ? সৰ্ব্বাপেক্ষা শান্ত ছিল বারণী । তাছার মনে কোন সন্দেহই ছিল না। তাছার বিশ্বস্ত হৃদয় বলিত, ফিরিবেনই তিনি-নিশ্চয় ফিরিবেন । স্বর্য্যের আলোকে, চঞ্জের জ্যোৎস্নায়, নক্ষত্রের জ্যোতিতে, মেঘের বর্ণে সে তাছার প্রফুল্প স্বাগত মুখই দেখিত। বাতাস কহিত, তিনি আছেন গো, তিনি আসিতেছেন । তরুলতা, ফুল বা মঞ্জরী সকলেই কছিত, তিনি আছেন, তিনি আসিতেছেন। অটল বিশ্বাসে, দৈববলে বারণী আশ্বস্ত हिल ॥ বারুণীর পিতার ষোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ্বে গঙ্গার ধারে একটি বাগানবাটী ছিল, কিছুদিন हर्हेरठ दांब्र-मैौम्रl cमहेशंitन श्रांनेिब्रां श्रांtछ् । श्रांख বিজয়ী-দশমী । স্বামী কলিকাতায় গিয়াছেন, অরুন্ধতী বিকালে করুণাময়ী ও নিখিলচাদের সহিত গঙ্গার সন্মুখস্থ বারান্দায় অtসিয়া বসিয়াছেন । ইহীরা তাহীকে বিজয়ার প্রণাম করিতে আসিয়াছেন। ইহার বসিয়া গল্প করিতেছিলেন সাগরেরই সম্বন্ধে। অরুন্ধতী কহিলেন, “আর কিছু কি খবর এসেছে ?” নিখিলচাদ দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া উত্তর করি, লেন, "খবর ত আর কিছুই পাচ্ছিনে।” করুণাময়ী বলিয়া উঠিলেন, “আমার কি মনে হয় জান ? তুমি এক দিন যেমন না চাইতে তাকে আমার কোলে এনে তুলে দিয়েছিলে, তেমনই এক দিন সে হঠাৎ আমাদের সামনে এসে দাড়াবে। কে জানে, সৰ্ব্বদাই আমার এই কথাই মনে হয় ।” পাশের বোটানিক্যাল গার্ডেনের জেটতে ফেরি স্ট্রীমার একখানা লাগিল। দেখিতে দেখিতে স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী তৎণাক্ষৎ কয়েক জন লোক ষ্টীমার হইতে নামিয়া পড়িল, অনেকেই তাহীদের মধ্যে হাটকেটধারী। করুণাময়ী তাড়া তাড়ি রেলিংএর নিকটে আসিয়া বলিলেন, “দেখ দেখ, ঠিক ধেন আমার সাগরের মতই শরীরের গঠন ন৷ ঐ ছেলেটির । বিলাত যাবার দিন ঠিক ঐ রকম দেখাচ্ছিল আমার সাগরকে । মুখটা যদি একবার তোলে, তা হ’লে ভাল ক’রে দেখতে পাই ।” এই কথায় সকলেই রেলিংএর নিকটে অসিলেন, কিন্তু ততক্ষণ যাত্রীর জেট হইতে বাগানে নামিয়া পড়িয়াছে। নিখিলচাদ বলিলেন, “হtটকোট দেখলেই ষাকে তাকে তোমায় মনে হয়, ঐ বুঝি তোমার সাগর । এ ষ্টীমারে সে অসিতে যাবে কেন ?" করুণাময়ীর দীর্ঘনিশ্বাস পড়িল, সভ্যই ত এ বৃথা আশা । ষ্টীমার যখন স্নাজগঞ্জ অভিমুখে চলিয়া গেল, তখন আবার তাহার চৌকিতে আসিরা বসিলেন । করুণাময়ী আবার ধীরে ধীরে বলিলেন, “আমার কিন্তু এখনও মনে হচ্ছে, ও সাগর।* অরুন্ধতী কহিলেন, “ত হ’তেও পারে। হর ত কলকাতায় এসে খবর পেয়েছে যে, আমরা এখানে আছি ।” নিখিলচাদ বাস্তব জগতের লোক । তিনি পুরা অবিশ্বাসের স্বরে বলিলেন, “তা হতে পারে না । তা যদি হ’ত, এতক্ষণ এখানে এসে পড়ত ।” র্তাহার কথা শেষ হইতে না হইতে সত্যই সাগর তাছাদের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । সকলে মুহূৰ্ত্তকাল বিস্ময়-স্তব্ধ হইয়া পড়িলেন। করুণাময়ী আনন্দ-গদগদ-কণ্ঠে কহিলেন, “সত্যই কি তুই বাবা, সাগর ঐ দেবতা দয়া ক’রে তোকে ফিরে পাঠালেন ।” বলিতে বলিতে উঠিয়া দাড়াইয়৷ সাগরের গল। ধরিয়৷ কান্দিতে লাগিলেন। সকলে চিত্ৰপুত্তলিকার দ্যায় নিৰ্ব্বাকু আনন্দে দাড়াইয়া রহিলেন। কথন ৰে বারুণী আসিয়া বারান্ধীর ধারে দাড়াইস্বাছে, কেহ তাহ লক্ষ্য করে নাই, কিন্তু সাগর তাহা দেখিল এবং উভয়ের মনের তরঙ্গ অন্যের অলক্ষ্যে উভয়ের চোখের মধ্য দিয়া অস্তরে প্রবিষ্ট हहेण ।