পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nరిస్రి —“চলুম—ময়না, তুমি নূতন বন্ধুর কাছে সুখে থাকো আর তোমার পুরাণ বন্ধুর কথা মাপে মাঝে তাকে স্মরণ করিয়ে দি ও ” পাপী--“কুন্দ কুন্দ বণিয় কুন্দের পক্ষে রাখিল, সে ঐ কথা ছাড়া আর কোন কথা নাই। পণ্ডিত মহাশয় সত্যুম্নয়মে তাঙ্গার চাঙ্গিয়া রছিলেন,– মনে দুঃসাহস ।” |이 শিথে ÍHL<f મtન નિtનન, --"fતું. পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ হাসির সহিত রাজকুমারীর ভাবটা বেশ ভাগ রকমই জমিয়া উঠিয়াছে। দেখা-শুনা এক দিনও তাহাদেব বাদ প৬ে না । বিবাহপৰ্ব্ব শেষ চক্টবার পর নরেন সন্ধীক কৰ্ম্মস্থলে চলিয়া গিয়ছে, কিন্তু নুতন বন্ধু পাষ্টয়া অণুভাপ বিরঙে হাসির আর দীঘনিশ্বাস পড়ে না, অধিকন্তু জ্যোতিস্ময়ীর প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক আভিভাবে হাসির মা-দিদিম ও নববধূর অভাব অণু পূব কলিবর বড় একটা অবসর পান না। বাড়ীর সকলেষ্ট রাজকন্যার রূপে-গুণে মঞ্চ, কিন্তু সৰ্ব্বাপেগণ মুগ্ধ পাড়ীর কক্ট কুণঃণাল গুlন একજિન દ્વ નજિક નtાત્રા દtદ્રમા કૈફાrજ 1sકામા করিলেন,--"কি বুঝলে, ম, বল ত ?” জ্যোতিৰ্ম্ময়ী অ সহজভাবে উত্তর করিলেন, -"জটিল অসম প্রস্থির মধ্য দিয়ে এই বিশ্ব পঞ্চাও মহাসাম্যে মিলিত হচ্ছে, ওঙ্কার শব্দ আমাদেব অন্তরাষ্মীকে এই প্রবৃদ্ধি দান করে।” কৃষ্ণলাল লিবার এই পাপ্য। অবাক হইয়। শুনিলেন, -1+ সংজ ব্যাখ্যা ! fদস্ত। দিস্ত কাগজে লিথিয়া তিনি {{হ! পঞ্চাইতে না পরিয়াছেন - - বালিক সংক্ষেপে দু'এক +থায় কি স্বশাররপে তাঁহর ভাবার্থ প্রকাশ কবলেন । এ বাড়ীত আসিয়া যখন জোতিৰ্ম্ময়ী গৃহকর্তীকে প্ৰণাম কবিয়। প{ড়ান কৃষ্ণলাল তঁহার মিঞ্চবিছাপ্পতীসদৃশ যু: 1 }দকে মুগ্ধনয়নে চাহিয়া ভাবেন, কোন স্বর্গেব দেবী ইনি ? না জানি কি উদ্দেশ্যে মত্ত্যে ইহার অভিভাব ? আশীব্বাদ করিতে গিয়া কুষ্ণলাল মনে মনে বালিকার প্রতি আনত হইরা পড়েন। হাসির মা-দিদিমা (~্যাতিৰ্ম্মধাব স্বভাব-সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ! কি অমায়িক সরলতা ! বাজগোঁবব, ধনগৰ্ব্ব স্বর্ণকুমারী দেবার গ্রন্থাবলী এক ফোট। তাহাতে দেপা যায় না। দিদিমা'র কাছে পুরাতন দিনের গল্প কি অগ্রহেই জ্যোতিৰ্ম্ময়ী শুনেন, আর বান্নাঘরের ধে7য়া ও গরম অগ্রাহ করিয়া হাসির ম। তার নিকট রান্না শিপিতেষ্ট বা তাহার কিরূপ উৎসাহ ! কি যে ছাক্ট-পাশ রান্না । কিন্তু রাজকণ্ঠীর মুখে তাহার প্রশংসা অণর ধরে না । হাসি রাজকন্যাকে প্রেমিকাব দৃষ্টিতে দেখে। অন্তের মুখে তাই1র রূপ-গুণের কথা শুনিলে সে খুবই আনন্দলাভ করে—কিন্তু নিজের মনে র্তাহার গুণাবলীর আলোচনা সে করে নু!-- সমস্ত প্রাণে র্তাহাকে গণবাসিয়া সে শুধু অন্তরে অন্তরে সুখ উপভোগ করে । এই অমুকুল পাতিমধুর বায়ুর সংঘাতে জ্যোতিশ্মীর মনের বালিকাসুলভ চাপা দরজাটি খুলিয়। গিয়াছে, ইfiসথেণার ম4্য দিয়া নবজ্ঞান অভিজ্ঞানে ভাঙ্গার দিব্যদর্শনশক্তি ও বাড়িয়া উঠিয়াছে । তাঙ্গার মনে হুইত, এ যেন সত্যযুগের পুণ্য ঋষিধাম, এপানে ধন্মের সঙ্কীর্ণতা নাই, কুটিল-জটিল আলোচনা নাই, ওঙ্কাররূপ হঁহাদের ধান-ধারণার দেবতা, সরলতা শাস্তি এ গুহের পুরুবেষ্টনী । জ্যোতিৰ্ম্ময়া তৃষাতুর প্রাণে এই পুণ্যধামের শাস্তি-দলিল পান করিতে করিতে দীঘনিশ্বাস ফোপয়া ভাবিতেন,—যদি সমগ্র বিশ্বজীবনের ধার; এইরূপ শান্তিময় সঙ্গত ! বালিকা এই ভবনের নাম পাপিলেম "আননা পাম’ । এথানে আসিয়; এক দিন সে দিদিমা’র বারাণীয় তাহীকে দেপিতে না পাইয়া হাসির সহিত নাচেতলর একটি ধরে আসিয়া দেপিল, এক জন সইস ছো করার s ও পোধের উপর জগদ্ধাত্রার মত বসিয়া তিনি ত!ষ্ঠfর সব করিতেছেন । দিদিমা’কে প্ৰণাম করিতে ভুলিয়া গিয়া জোতিৰ্ম্মধা অবাকৃ হষ্টয়া পাশে দাড়াহঁয়া রাহলেন। দিদিমা একটু ১ দিয়া পাললেন, “আমার মনে ভাই শুচিবাই অতটা নেই। এদের ত আপনার জন এথানে কেউ নেই, দিদি, দেশ ফেলে পরদেশকেই ওরা আপন করেছে - আমরা ;}দ রোগে-শোকে ওদের না দেখি –তা চ’লে কে দেখবে বল ? তবে হিন্দুর ধরে জন্মেছি-হিন্দুর আচাব-বিচার ভুলতে পারি নে, গিয়ে কাপড় ছেড়ে দানাঙ্গিক করে ঘরে ঢুকুব,— যদি ৪ মনে বুঝি সেটা ভ্রাপ্তি ।” হায় রে! কোন দিন সমস্ত হিন্দুস্থান এইরূপ কবিয়া ভাবিতে শিখিবে । খেলা-ধুলার মধ্যে, হাসি-গল্পের মধ্যে বালিকা এক একবার সহসা গম্ভীর বিযঃ হইয়া পড়েন।