পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিলন-রাত্রি অক্ষরগুলাকে একেবারেই অস্পষ্ট করিয়া তুলিল । বাঙ্গালী দেশের সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কে জানে, আমাদের নবীন সঙ্কেত-পাঠক বসন্ত প্রত্নতাত্ত্বিকের উচ্চাসন-লাভ আকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ করিয়া তথন বইখান মুড়িয়া ফেলিল এবং সিগারেটের উদ্দেশ্যে পকেটে হস্তপ্রদান করিয়া কছিল,—“বুঝে নিয়েছি সব, এইবার ইতি দেওয়া ৰাক্‌ ৷” অনাদি কিন্তু নাছোড়ব না, সে তাহার নয়নজ্যোতিতে অন্ধকার ঘরখানাও উজ্জল করিয়া বসন্তকে কহিল,—“এরই মধ্যে ইতি কি হে ? ঐ ত আমাদের জাতের দোষ । কিছুরি ভিতরে প্রবেশ করতে চাইনে। দাও দাও দেশলাইট আমাকে, আগে তোমার তমোটা আমি নাশ করি, মুখাগ্নি পরে ক’রে।” বলিতে বলিতে দেশলাইট বসন্তের ছাত হইতে কাড়িয়া লইয়া টেবিলের কেরোসিন ল্যাম্পট। জালাইয়া লইল, হেনকালে ভৃত্যবাবু গৃহপ্রবেশ করিয়া দীপ প্রজ্বলিত দেখিয়া হাস্তমুখে চলিয়া গেলেন। বসন্ত অতঃপর চুরুট ধরাষ্টয়া লইয়া বলিল, --“অত রাগতে হবে ন হে, যা বুঝেছি, তাতেই কাষ চালিয়ে নিতে পারব।” “বইখানার ছোয়াচে লাগলো মা কি দাদা ? হঠাৎ তুমিও যে দেখছি, সাঙ্কেতিক হয়ে উঠলে । কি কার্য চালাতে পারবে ?" “অস্ত্রগুলা উদ্ধার করতে পারব -এমন আশা হচ্ছে।” “আশা—ন বাসন ? সপ—ন রজ্জ্ব ?” “ন ছে না, আশাই ঠিক, আমি ভুল বলি নি । দলপতির সঙ্গে দেখা কবিয়ে দেবার জন্ত সস্তোব যে জঙ্গলের মধ্যে আমাদের নিয়ে গিয়েছিল—সেখানে ভাঙ্গা মন্দিরের মধ্যে ওরা যে কায়েমি একটা বাসা বানিয়েছে এই নোটবই থেকে তা স্পষ্ট বোঝা शृitष्ट्छ्--* "তা ত যাচ্ছেষ্ট।” “আর সে দিন সন্তোষ কি বলেছিল, মনে আছে ত? বাধাহীন মিলনের জন্তই অনেক টুড়ে আমাদের জন্ত ঐ প্রেমিককেটির সে আবিষ্কার করেছে।" দুই জনে খানিকট হাসিল, তার পর অনাদি বলিল –“হ্যা, আর একটু হ’লেই তাদের প্রেমের ফাসটানে মহামিলনের পথেই আমরা গিয়ে পড়তুম ! যে যাত্রা কি রক্ষাই পাওয়া গিয়েছিল।” “সে ম’রে গিয়েও আমাদের বড় বঁiচানট বাচিয়েছে। নইলে এত দিন যে আরো কত কি কাও করত, সে তার ঠিক নাই ।” s を○ “ত ঠিক । অশাল কথা বল হে ।” “অস্ত্রগুলা যদি তারা এই অীড়াতেই রেখে থাকে, তা হ’লে উদ্ধার কতে পার্ব ব’লে মনে এখন তোম। ৭ করি।” “চোরের উপর বাটপাড়ী ? কি মজাই হয় তা झ'tळ ?* “অত লাফাস্নে ! তুই যে এখনি কায করতে চল্লি ? কার্যটা কিন্তু খুব সহজ নয়। ওদের আস্তানার মধ্যে ঢুকব কি ক’রে, সেখান থেকে নিৰ্ব্বিঘ্নে বেরোব কি ক’রে, কখন সেথানে লোক জমে, কথন যাওয়া নিরাপদ, সে সব ত আগে সন্ধান নিতে হবে –জঙ্গলে প্রবেশের পথ ছাড়া আমরা আর ত কিছুই জানিনে ৷” “তোমার হাতে ত চতুর লোক অনেক আছে ” “আরে অপোগও । অনেক লোকে কায সিদ্ধ হয় না- নষ্টই হয় । আমার ভরসা একটি ছোট্ট মৰ্কটের উপর,—এ হেন লঙ্কাপুরী ত মৰ্কটদুতেই জ্বালিয়ে দিয়েছিল ।” অনাদি কৌতূহলপরবশ হইয়া কহিল,—“কে তোমার সে মৰ্কটরূপী ভগবান্‌--বল দাদা—” “দীনেশকে জানিস ? আমাদেরই ব্যায়াম-সমিতির সে এক জন মেম্বর ছিল—সব চেয়ে ছাটখাট লোকটি, কিন্তু সব চেয়ে সে ছিল উৎসাহী। অথচ রাজকুমারীর তাইফোটার দিন,-- একটি কথা সে কইলে না, সমস্ত দিনই গোমসা হয়ে রইলো,--মনে আছে ত ?” "না, মনে নেই, সম্ভবতঃ সেই বেঙ্কুটেরামের দিকে আমার নজরই পড়ে নি।” “সে যে রাজকুমারীর সম্ভাষণে অ'হলাদ প্রকাশ করে নি।---ভার কারণ -- সে তখন বিদ্রোহী-দলে ঢুকেছিল ” “তাকে তুমি হাতে পেয়েছ না কি ? সে কি এখন তার ভুলটা বুঝেছে ?” “জানিনে তা । কিন্তু বুঝলেই বা কি ফল ? সে ত অীর গোয়েন্দাগিরি ক’রে দলের লোককে ধরিয়ে দিতে যাচ্ছে না।” “ভবে ?" “বড় মজাই হয়েছে কাল সোনারগায়ের পথে তাঁর সঙ্গে দেখা, সে ভেলে নলে, আমি তাদেরই দলের এক জন । জঙ্গলে প্রবেশের সময় বোধ হয়, সে আমাদের দেখেছিল।” "তার p"