পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6:8 “আমাকে দেখেই সে ব’লে উঠলো- "গুরু গুরু r বুঝে নিলুম-ওটা হচ্ছে তাদের সাঙ্কেত্তিক সম্ভাষণবাক্য। তখন ত নোটবই পড়ি নি, আমার বলা উচিত ছিল--চরণ-শরণ " “এই যাঃ, কি বল্পে তুমি ?” “আমিও আস্তে আস্তে বল্লম “ধরা প’ড়ে গেলে ?” *না ভীষ্ট, জান ত লোকটা তেমন চালাকচতুর নয়--একটু বরঞ্চ বোকাটে ধরণের সে হয় ত ভাবলে-আমি এখন ৪ গদের অন্ত:কুটীরে ঢুকি নি । সে আমার মথের দিকে চেয়ে রইলো, মনে হোল, যেন কিছু বলতে চায়-- অামি দেখলুম বেগতিক, বেশী কথা কইলেক্ট ধরা পড়ব - অথচ তার কাছে থেকে চোরাই মালের খবরটা যদি কোন গতিকে আদায় করতে পারি, এই ভেবে--তখন কথা কবীর সময় নেই এই ওজরে আজ তাকে এখানে আসতে বলেছি, ইতিমধ্যে আমরা রিহার্শেল দিতে পারব - এষ্ট ছিল আমার মতলব । তার পর এখন ত নোটবইগণনা প’ড়ে বড়ই সুবিধা হয়েছে । আমার পুরো বিশ্বাস যে, তাকে আমি চ স্থা ক'রে কায সিদ্ধ করতে পারব। ঐ পায়ের শঙ্ক- তুষ্ট ও ঘরে গিয়ে বোস । তোকে দেখলে লোকটার মনে যদি কোন রকম সন্দেছ জন্মে যায় ত সব পঞ্চ হয়ে যাবে ।” “সন্দেহ করার ত কোন কারণ নেই, তোকে যদি দলপতির কাছে দেখে থাকে ‘ত আমাকেও দেখেছে, তোর কিছু ভাবনা নেই-আমি তার বিশ্বাসী হ’তে পারব।” দীনেশ আসিয়া অন্যদিকে দেখিয প্রথমটা একটু ভ্যাব1চ্যাক। থাইয়া গেল— ‘কন্তু উভয়েই যখন গুরু গুরু মি ৭ণদীন বলিয। অভ্যর্থনা করিল - তখন সে আশ্বস্ত হইয়া গুরু গুরু চরণ-শরণ সম্ভাষণে নিকটে আদিহা পথমে অনাদির সহিত কোলাকুলি করিয়া জিজ্ঞাসা কবল “তোমার ভার নাম ?” অনাদি বলিল, “২৫ নম্বর ” তাহারা নোটবুকে দেখিয়াছিল, ২৪ নম্বরের পর আব নামের নম্বর নাই । দীনেশ বলিল “এখনও তা হ’লে তুমি প্রথম কুঠরীর লোক, দ্বিতীয় কুঠুরীতে ঢোকা হচ্ছে কবে ?” “গুরুর অনুজ্ঞ যপন হয় । পরীক্ষায় পাশের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।” দীনেশ দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিল, কিরূপ অগ্নিপৰীক্ষার মধ্য দিয়া দ্বিতীয় কুঠরীতে সে উঠিয়াছিল-- বাধ হয় সে কথা তাহার মনে পড়িয়া গেল । এইবার বসন্তের গুরু গুরু ” স্বর্ণকুমারী দেবার গ্রন্থাবলী নিকট আসিয়া তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া জিজ্ঞাসা করিল “নান সেবাধারী ?” “বহুমিঞা মোক্ষানন্দ ।” প্রথম কথাটা আপনার নাম হইতে বসন্ত বানাইয়া বলিল,--দ্বিতীয় শব্দ তাহারা নোটবুকে দেখিয়াছিল। দীনেশ “নমে। নমো" বলিয়। তাঁহাকে নমস্কার করিয়া বলিল—”এই উচ্চাকাঙ্ক্ষ। আমিও এক দিন মনে ধ’রে রেখেছিলুম–কিন্তু-” পদষ্ট বলিল, “কিন্তু নিরাশার ত কোন কারণ নেই ।” “তুমি ভাইয়া কি তা হ’লে জান না – যে—“ "অনেক কথাই জানিনে আমি.--কিছুদিন থেকে মোক্ষলাভের আয়োজনে বড়ষ্ট ব্যস্ত ছিলাম, মন্দিরে সাবার সময় ক’রে উঠতে পারি নি ভাইয়া ।” অবনত মুখে দীনেশ বলিল—“আমি দাগী হয়েছি।” “তুমি দাগী ! বড়ই দুঃখের বিষয়,--এমন উৎসাহী সেবtধারী তুমি ? অপরাধ ?” পারি নি তl, পারি নি আমি । গুরুর আদেশ অমদ্য করেছি।” शनञ्च ७ श्रमांनि श्रुझे छtन भूथं-क्रांGब्रांफ्रां७ब्रि করিয়া চুপ করিয়া রছিল। কি জানি কি বলিতে কি বলিয়া ফেলিবে,–নিজেরা নীরব থাকিয়া উহাকে কথা কহিতে দেওয়াই শ্ৰেয়: তাহারা বুদ্ধিমানের কাৰ্যই কঞ্জিল, আপন হইতেই অতঃপর সে বলিল, —“ডাক্তার এখন কোথায় ?” অনাদি তখন সহাস্তে বলিল,—“আমাদের দলে!” “আমাদেরই দলে ! তিনি তবে সেবাধারী হয়েছেন ! গুরু প্রসন্ন হউন। বন্দুক ছুড়তে গিয়ে এ হাতটা ভেঙ্গে গিয়েছিল, তিনিই আমার ভাঙ্গা হাত জোড়া দিয়েছেন, তা ত জান ?" “জানি বই কি ৷” *গুরুর আজ্ঞা পেয়েও এ হাত তাই তার বিরুদ্ধে তুলতে পাবি নি! বম্বমিক, আমি দাগী হয়েছি।” অনাদি অীর আত্ম-সংবরণ কবিতে পারিল না, ক্ৰোধ প্রকাশ করিয়া কহিল, “আমার প্রতি এরূপ আদেশ হ’লে আমিও অমান্ত করতুম,—তুমি ঠিক কাৰ্যই করেছ ভাইয়া।” দীনেশের ম্ৰিয়মান মুখ উজ্জল হইয়া উঠিল ; কিন্তু মুহূৰ্বকাল পরেই আবার মানভাবে সে উত্তর করিল,—কিন্তু আমি যে গুরুর আদেশ লঙ্ঘন