পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ն Յ তুমি, অরূপ অপরূপ, সচ্চিদানন্দরূপ ! তব প্রেমরূপে ভরা -- নিপিল ভল । তু কি রুদ্র, ভয়ঙ্কর, দগুপতি । হ ও শঙ্কর, মুখকর, তুষ্টুমতি । দেহ কৰ্ম্মে পুণ্য, কর ধৰ্ম্মে ধন্ত, দ্যায় বলিষ্ট ংেlপু নিশিদিব ! দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ কৃষ্ণল!থকে গন্য খার লষ্টয়া গিয়া রীজ তাছাকে বলিলেন, “আপনার হাসির বিপাঙ্গের জন্য বড় ব্যস্ত ছয়েছেন— ন ?" কৃষ্ণলাল হাভের উপর হাত রাগিয়া ভাস্কা রগ - ডাক্টতে মুরু করিয়া উত্তর কপিলেন--"ষ্ঠ্যা, গিন্নার কাছ থেকে এ জষ্ঠ তাড়া খেতে হয় বই কি ?” রাজার গম্ভীর মুখেও বেশ একটু হাসি ফুটিয়া উঠিল ; কিন্তু মুহূর্বমধ্যে সে হাসি চাপিয়া লইয়া ধীরভাবেই তিনি বলিলেন, -"অনাদিকে কি পছন্দ হয় আপনার ? "অনাদি r হ্যা—ষ্ঠ্য, বেশ ত ছেলেটি ?” "তাকে জামাই করতে বোধ হয় আপনার গৃহিণীর অমত হবে ন ? অামার আ স্থায় ব’লে বলছি মনে কববেন না, কিন্তু সে খুবই ভাল ছেলে ; — রাজী আছেন কি আপনি ?” “আপনি –আপনি, এই তুমি বাবা যা বলবে, তাতেই আমি রাজী। আর গিল্পীর কথা ধদি বল, তিনি ত এ কথা শুনলে একেবারে নেচে উঠবেন। রাজবংশের প্রতি তার টানটা কিছু অসম্ভব রকমের।” “বেশ, তা হ’লে আপনি বরঞ্চ এখনি মোটারে ক'রে বাড়ী যান, গিয়ে হাসির মা ও দিদিমাকে এখানে নিয়ে আসুন, অামার ইচ্ছে, আমি চ’লে যাবার আগে, আজই সন্ধ্যায় এ বিবাহটা এখানেই দিয়ে যাই । পুলিস ত আর আমাকে এখন আপনার বাড়ী যেতে দেবে না ! নইলে বর সঙ্গে নিয়ে সেখানেই যাওয়া বেত ” বিস্ময়ে কৃষ্ণলালের গুণত রগড়ানো বন্ধ হইয়া গেল, তিনি ছাত 'খানা খুলিয়া চৌকীর মাথায় রাখিয়া বিম্বফারিত নেএে রাজার দিকে চাংিলেন । উভয়ে দাড়াইয়াই কথা কহিতেছিলেন। রাজা বললেন,—“আপনার রাজী হবেন মনে ক’রে নিয়ে এ বিবাহের আয়োজন আমি এক রকম সবই প্রান্থ ঠিক ক'রে ফেলেছি।” কৃষ্ণলালের সংশয় দূর হইল, কিন্তু বিস্ময় ঘুচিল না। তিনি সমানই বিশ্বরিত্ব স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী নেত্রে কছিলেন—“আজকেরই এই সন্ধ্যায় ? তুষি চ'লে যাবার আগে ?” “হ্যা মুখুয্যে মশার, আমার তাই ইচ্ছে।” “তোমার তাই ইচ্ছে ? কিন্তু - কিন্তু বড় অসময় যে ! আর মেয়েও ত বড় হয়ে উঠেছে ;—তাকেও ত একবাব জিজ্ঞাসা করতে হবে ।” “মেয়ে ত এখানেই অাছে ; জিজ্ঞাসা করুন না । তাকে একবার জিজ্ঞাসা করা দরকার বই কি ? তবে বাপ-মার মত আছে জানলে হাসির ত এতে অমতের কোনই কারণ দেখিনে । বিশেষ আমার ত মনে হয় –অনাদিকে ছাসি পসনাই করে। বেশ, আপনি যান, সব কথা তাকে ল'লে সঙ্গে ক’রে নিয়ে আমুন, আমিও তাকে বুঝিয়ে বলি।” কৃষ্ণলীল চলিয়া গেলেন, তখনি প্রায় শুীমাচরণ অtসিয়া দেখা দিলেন। রাজা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন- -“সব ঠিক ত ?” উত্তর হইল—“আর সবই ঠিক, কেবল পুরোহিত মশায় ১০টা রাতের আগে এখানে এসে পৌছতে পারবেন কি না সন্দেহ ।” “কিন্তু ততক্ষণ অপেক্ষা করবার সময় আমার ত নেষ্ট। সাড়ে ৮টার সময় প্রসাদপুরের প্রথম ট্রেণ এখান থেকে ছাড়ে-- শেষ ট্রেণ পৰ্য্যস্ত পুলিস কি আর আমাকে এখানে রাখবে?” হ্যামাচরণ একটু ইতস্ততঃ করিয়া বললেন,-“যদি অনুজ্ঞা করেন, আমিই পৌরোহিত্য করব - সে জন্ত বিবাহ বন্ধ থাকৃবে না ।” রাজা বলিয়া উঠিলেন—“না, আমিই পৌরোহিত্য করব । অনাদি কোথt 1* “অনাদি । তাকে ত এইমাত্র ব্যাঙ্কে পাঠালুম গহনার বাক্স আনতে ” মুক্তার মালা চুরা গিয়া পৰ্য্যন্ত গহনার বাক্স রাজ ব্যাঙ্কেই রাখিয়া দিয়াছেন। রাজা বিরক্তির স্বরে বলিলেন “তাঁকে পাঠালেন কেন ? কখন ফিরবে সে ?” “আমাকে যদি আপনি বিবাহের আয়োজন কবৃতে হুকুম দেবার সময় বলতেন যে, বিবiuহর প্রধান ব্যক্তি আপনার মনে অনাদি—তা ছ’লে কি আর এ রকম গোলযোগ হয় ? অামি ভেবেছিলাম—” রাজার বিরক্তি ক্রোধে পরিণত হইল—তিনি বেশ একটু কড়া স্বরেই বলিলেন,—“আপনার যেমন বুদ্ধি ! চলেছি মৃত্যুর পথে, এ সময় একটা রালিকার আচলে শিৱে দিয়ে বিধবt করার জন্ত তাকে ঘরে বেঁধে রেখে মাৰ ! কেমন ক’রে যে এ কথা আপনার মনে এল, এইটেই আমার আশ্চৰ্য্য লাগছে।”