পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্বাবয়ব,বেদান্ত 38 সেগুলির যাবতীস্থ গ্রন্থ পড়িয়া দিগগজ পণ্ডিত হইতে পারে, কিন্তু যদি শুধু কর্মকাণ্ড লইয়াই থাকে, তবে বুঝিতে হইবে তোমার কিছুই হয় নাই, তোমার ~ভিতর ধর্মের বিকাশ কিছুমাত্র হয় নাই । 'কেবল ত্যাগের দ্বারাই এই অমৃতত্ব লাভ হইয়া থাকে, ত্যাগই মহাশক্তি । যাহার ভিতর এই মহাশক্তির আবির্ভাব হয়, সে সমগ্র জগৎকে পর্যস্ত গ্রাহ করে না। তখন তাহার নিকট সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড গোপদতুল্য হইয়া যায়— ‘ব্রহ্মণ্ডিং গোপদায়তে । ত্যাগই ভারতের সনাতন পতাকা । যে-সকল জাতি মরিতে বসিয়াছে, ঐ পতাকা সমগ্র জগতে উড়াইয়া ভারত তাহাদিগকে সাবধান করিয়া দিতেছে—সর্বপ্রকার অত্যাচার, সর্বপ্রকার অসাধুতার তীব্র প্রতিবাদ করিতেছে ; তাহাদিগকে যেন বলিতেছে : সাবধান ! ত্যাগ্লেব পথ, শাস্তির পথ অবলম্বন কর, নতুবা মরিবে। হিন্দুগণ, ঐ ত্যাগের পতাকা পরিত্যাগ করিও না—সকলের সমক্ষে উহ। তুলিয়া ধর । তুমি যদিও দুর্বল হও এবং ত্যাগ না করিতে পারে, তবু আদর্শকে খাটো করিও না । বলো, আমি দুর্বল –আমি সংসার ত্যাগ করিতে পারিতেছি না, কিন্তু কপটতার আশ্রয় করিবার চেষ্টা করিও না—শাস্ত্রের বিকৃত অর্থ করিয়া, আপাতমধুর যুক্তিজাল প্রয়োগ করিয়া লোকের চক্ষে ধূলি দিবার চেষ্টা করিও না ; অবশ্য যাহার এইরূপ যুক্তিতে মুগ্ধ হইয়া যায়, তাহাদেরও উচিত নিজে নিজে “শাস্ত্রের প্রকৃত তত্ত্ব জানিবার চেষ্টা করা । যাহা হউক, এরূপ কপটতা করিও না, বলে যে আমি দুর্বল । কারণ এই ত্যাগ বড়ই মহান আদর্শ। যদি যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ সৈন্তের পতন হয়, তাহাতে ক্ষতি কি—যদি দশ জন, দু-জন, এক জন সৈন্যও জয়ী হইয়া ফিরিয়া আসে । যুদ্ধে যে লক্ষ লক্ষ লোকের মৃত্যু হয়, তাহারা ধন্য ; কারণ তালুদের শোণিতমূল্যেই জয়লাভ হয়। একটি ব্যতীত ভারতের সকল বৈদিক সম্প্রদায়ই এই ত্যাগকে প্রধান আদর্শরূপে গ্রহণ করিয়াছেন। একমাত্র বোম্বাই প্রেসিডেন্সির বল্লভাচার্য সম্প্রদায় তাহ করেন নাই। আর তোমাদের মধ্যে অনেকেই বুঝিতে পারিতেছ, যেখানে ত্যাগ নাই, সেখানে শেষে কি দাড়ায় । এই ত্যাগের আদর্শ রক্ষা করিতে গিয়া যদি গোড়ামি—অতি বীভৎস গোড়ামি আশ্রয় করিতে ইস, ভষ্মমাখা উর্ধ্ববাহু জটাজুটধারীদিগকে প্রশ্রয় দিতে হয়, সেও ভাল । যদিও ঐগুলি অস্বাভাবিক, তথাপি যে লন্সনাস্থলভ وين - &