পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> t 8 * স্বামীজীৰ ৰাণী ও রচনা যদি আমাদের থাকিত, তবে কোন দুঃখই থাকিত না। কেবল সেই ব্যক্তিই প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ বস্তুলাভে সমর্থ হইবেন, যিনি সমগ্র শক্তি দিয়া কোন বস্ততে আসক্ত হুইবার সামর্থ্য লাভ করিয়াও প্রয়োজনকালে নিজেকে অনাসক্ত করিবারও শক্তিধারণ করেন। কিন্তু মুশকিল এই—যতটুকু আসক্ত হইবার ক্ষমতা থাকা দরকার, ততটুকু অনাসক্ত হইবার ক্ষমতাও থাকা উচিত। আবার এমন সব ব্যক্তি আছে, যাহারা কোন-কিছু দ্বারা আকৃষ্ট হয় না। তাহারা ভালবাসিতে পারে না ; তাহার কঠিনহৃদয় ও উদাসীন ; অবশ্য জীবনের অধিকাংশ দুঃখ তাহার এড়াইয়া যায়। কিন্তু দেওয়াল কখনও দুঃখবোধ করে না, কখনও ভালবাসে না, কখনও আঘাতও পায় না ; তাহা হইলেও উহা দেওয়ালই থাকে। নিতান্ত অনুভূতিহীন দেওয়াল হওয়া অপেক্ষ কোন-কিছুর প্রতি আসক্তি বা অাকর্ষণ অনুভব করা বরং ভাল। যে কখন কাহাকেও ভালবাসে না, যে কঠিন হৃদয় ও পাষাণতুল্য, সে জীবনের অধিকাংশ দুঃখ এড়াইবার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ হইতেও বঞ্চিত হয়। এইরূপ अवश्। च्यांशब्रा कांशमा कब्रि ना । हेश कूर्वजउ1, हेश्। श्रृङ्घाङ्जा । cष-शनम्न কখনও দুর্বলতা অনুভব করে না, দুঃখ অনুভব করে না, সে-হৃদয় কখনই । জাগ্রত হয় নাই। তাহা স্পন্দনহীন জড়াবস্থা ; এ-রূপ অবস্থা আমরা 5iहे मां ) এইসঙ্গে কেবল প্রেমের এই মহাশক্তি, আসক্তির এই প্রবল আকর্ষণ, একটিমাত্র বস্তুর উপর সমগ্র মনপ্রাণ ঢালিয়া দিয়া নিজ সত্তাকে যেন অপরের জন্ত নি:শেষ করিয়া দেওয়ার শক্তি—ষাহা দেবতাদেরই শক্তি—আমাদের কাম্য নয় ; পরস্তু আমরা দেবগণ অপেক্ষাও উচ্চতর, মহত্তর হইতে চাই। পূর্ণজ্ঞানী প্রেমের সেই একটি বিন্দুতে নিজের সমগ্র চিত্ত সমাহিত করিতে পারিলেও অনাসক্তই থাকেন। এই অবস্থা কিরূপে আসে ? অার এই একটি রহস্তই আমাদের শিক্ষা করিতে হইবে । ভিক্ষুক কখনও স্বর্থী হয় না। সে যৎকিঞ্চিং ভিক্ষা পায়, কিন্তু ইহার পশ্চাতে থাকে করুণা ও ঘৃণা ; ভিক্ষুক যে নীচ ব্যক্তি, অন্ততঃ এইরূপ মনোভাব দানের পশ্চাতে থাকিয়া যায়। স্বাহ৷ সে পায়, তাহা কখনও যুথার্থরূপে উপভোগ করিতে পারে না। আমরা সকলেই ভিক্ষুক । আমরা যাহাই করি, তাহারই একটা প্রতিদান