পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o&\o স্বামীজীর বাণী ও রচনা • শীঘ্রই হউক আর বিলম্বেই হউক, তোমাকে ত্যাগ করিতেই হইবে—যাহা দেয় তাহা দিতেই হইবে। তুমি এই সংসারে আসে সঞ্চয় করিবার জন্য। মুষ্টি বন্ধ করিয়া তুমি গ্রহণ করিতে চাও ; কিন্তু প্রকৃতি তোমার গল টিপিয়া তোমাকে দান করিতে বাধ্য করে । তোমার ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক,তোমাকে দিতেই হুইবে। যে মুহূর্তে তুমি বলিবে, ‘আমি দিব না', সেই মুহূর্তেই আঘাত আসিয়৷ তোমাকে দুঃখ দিবে। এমন কেহই নাই যে পরিণামে সর্বস্ব ত্যাগ করিতে বাধ্য ন হইবে । এই নিয়মের বিরুদ্ধে যে যত বেশী সংগ্রাম করিবে, সে তত বেশী দুঃখ অনুভব করিবে। আমরা ত্যাগ করিতে সাহল করি না বলিয়াই, প্রকৃতির এই বিরাট দাবি বিনীতভাবে মানিয়া লইতে স্বীকার করি না বলিয়াই দুঃখ পাই। ধর, অরণ্য লোপ পাইল, কিন্তু ইহার ফলস্বরূপ আমরা সূর্যের উত্তাপ পাই । সূর্য সাগর হইতে জল আহরণ করিয়া বৃষ্টিধারারূপে উহ প্রত্যপণ করে। তুমি আদান-প্রদানের যন্ত্রস্বরূপ ; তুমিও দান করিবার জন্যই গ্রহণ কর। স্বতরাং প্রতিদানে কিছুই চাহিও না ; যতই দান করিবে, /ততই সব-কিছু তোমার নিকট ফিরিয়া আসিবে। যত শীঘ্র এই কক্ষটি বায়ুশূন্ত করিবে, তত শীঘ্ৰ ইহা হিরের বায়ুদ্বারা পূর্ণ হইবে ; কিন্তু সমস্ত দরজা, সমস্ত ছিদ্র বন্ধ করিয়া দিলে ভিতরের বায়ু ভিতরেই থাকিবে, বাহিরের বায়ু কখনও ভিতরে আসিবে না ; ফলে ভিতরের বায়ু গতিহীন হইয়া দূষিত ও বিষাক্ত হইবে । নদী অবিরত সাগরের মধ্যে নিজেকে নিঃশেষিত করিতেছে এবং পূর্ণ হইতেছে। সাগরের মধ্যে নদীর নির্গমন রুদ্ধ করিও না ; যে মুহূর্তে ইহা করিবে, সেই মুহূর্তে তুমি মৃত্যুর কবলে পড়িবে। স্থতরাং ভিক্ষুক হইও না ; অনাসক্ত হও । ইহাই জীবনের সর্বাধিক দুষ্কর কার্য। এই পথের যে কি ৰিপদ তাহা নির্ণয় করিতে পরিবে না। এমন ক, বুদ্ধিবৃত্তির সাহায্যে এই পথের বাধাবিঘ্নগুলি অবগত হইয়াও যতক্ষণ ब शरमथिां८१ अष्ट्र छत्र कब्रि, उउक्र१ ॐ७लि८क ठेिक ठेिक जांभद्रां छांनिtउ পারি না। দূর হইতে একটি প্রমোদ-উদ্যানের সাধারণ দৃপ্ত আমাদের নয়নগোচর হইতে পারে ; কিন্তু তাহাতে কি আলে যায়? যখন আমরা উষ্ঠানের মধ্যে থাকি, তখনই উহা কিরূপ অকুভব করি, এবং যথার্থরূপে জানিতে পারি। যদিও আমাদের প্রত্যেকটি প্রয়াস ব্যর্থতায় পর্যবসিত ই য এবং আমরা মর্মাহত ও বিপর্যন্ত হই, তথাপি সকল ৰিপর্যয়ের মধ্যে আমারে