পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tb प्रशांघैौर्खौब्र वांबैौ ७ ब्रक्लब না ; তাহাদের হৃদয়বৃত্তি স্তব্ধ, কারণ র্তাহীদের দেহে মৃত্যুর শীতল স্পর্শ লাগিয়াছে, তাহারা নিক্রিয়, এমন কি অভিসম্পাত করিতেও পারেন না, একটি কর্কশ কথাও বলিতে পারেন না । এ-সবের হাত হইতে আমাদের নিষ্কৃতি পাইতে হইবে। তাই বলি– আমাদের অসাধারণ ঐশী শক্তির প্রয়োজন। সাধারণ অলৌকিক ক্ষমতা যথেষ্ট নয়, অসাধারণ ঐশী শক্তিই একমাত্র উপায়—মুক্তির একমাত্র পথ। একমাত্র ইহারই সাহায্যে আমরা সব জটিলতা অতিক্রম করিতে পারি— অক্ষতদেহে অজস্র দুঃখরাশি উত্তীর্ণ হইতে পারি। আমরা খণ্ডবিখণ্ড হইতে পারি, শতধা বিচ্ছিন্ন হইতে পারি ; তথাপি এই শক্তির সহায়তায় আমাদের হৃদয়বৃত্তি সর্বদাই মহৎ হইতে মহত্তর হইয়া উঠিবে। ইহ খুবই কঠিন, কিন্তু নিরস্তর অভ্যাস দ্বারা আমরা এই কাঠিন্য অতিক্রম করিতে পারি। আমাদের বুঝিতে হইবে—আমাদের কোন বিপদষ্ট ঘটিতে পারে না, যে পর্যন্ত না আমরা সেই বিপদ বরণ করিতে সমর্থ হই । অামি বলিয়াছি, যতক্ষণ দেহ রোগের জন্ত প্রস্তুত না হয়, ততক্ষণ কেন , রোগ আমার কাছে আসিতে পারে না ; রোগ কেবল জীবাণুর উপর নির্ভর করে না, পরন্তু দেহাভ্যন্তরস্থ রোগপ্রবণতার উপরও নির্ভর করে। আমরা যাহা পাইবার যোগ্য, তাহাই পাইয়া থাকি। অহঙ্কার ত্যাগ করিয়া ইহাই যেন আমরা উপলব্ধি করি—দুঃখ কখনও সঙ্গত কারণ ছাড়া হয় না ; দুঃখের অনধিকারী কখনও দুঃখগ্ৰস্ত হয় না। কখনও কোন আঘাত অকারণে আসে নাই ; কখনও এমন কোন অকল্যাণ সংঘটিত হয় নাই, যাহার জন্য আমি নিজহস্তে পথ প্রস্তুত করি নাই। ইহাই আমাদের জানিতে হইবে। নিজেদের বিশ্লেষণ করিলে দেখিতে পাইবে, যে-কোন আঘাত পাইয়াছ, তাহার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করিয়াছিলে বলিয়াই তাহ তোমাদের নিকট উপস্থিত হইয়াছিল। তোমরা করিয়াছ অর্ধেক প্রস্তুতি, বাকী অর্ধ করিয়াছে বহির্জগৎ । এইপ্রকারেই আঘাত আসিয়াছিল। এই উপলব্ধিই আমাদিগকে শাস্ত করিবে। একই সঙ্গে এই বিশ্লেষণ হইতেই একটি অাশার বাণী আসিবে এবং সেই আশার বাণী এইরূপ : বহি প্রকৃতির উপর আমার কোন প্রভাব নাই ; কিন্তু যাহা অামার ভিতরে, যাহা আমার নিকটতর, অর্থাৎ আমার নিজস্ব জগৎ, তাহ আমার