পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল রাজযোগ, ' جماد আত্মবন্তু আছে কি না, তা বোঝার একমাত্র উপায়—এমন একটা কিছু হওয়া, যা দেহ নয় । যোগীরা আমাদের ইন্দ্রিয়গুলিকে প্রধানতঃ দু-ভাগে ভাগ করেন— জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয় ( অথবা জ্ঞান ও কর্ম ) । অন্তরিক্রিয় বা মনের স্তর চারটি ঃ প্রথম—মনঃ, মনন বা চিন্তাশক্তি ৷ একে সংযত না করলে এর সমস্ত শক্তি নষ্ট হয়ে যায় ; সংষত করলে মনই আবার অদ্ভুত শক্তির আধার হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়—বুদ্ধি বা ইচ্ছাশক্তি (তাকে বোধশক্তিও বলা যায় )। তৃতীয়–অহংকার বা “অহং-ৰুদ্ধি। চতুর্থ—চিত্ত, এইটিই হ’ল উপাদান, যাতে সকল বৃত্তি ক্রিয়া করছে, মনের ভভিতল, সকল বৃত্তির আধার। এ যেন সমুদ্র, আর বৃত্তিগুলি যেন এরই छुद्रछ । চিত্তবৃত্তি-নিরোধের নামই যোগ—যোগ’ এক প্রকার বিজ্ঞান, যার Iাহায্যে আমরা চিত্তের বিভিন্ন বৃত্তিতে রূপান্তরিত হওয়া বন্ধ করতে পারি। মুন্দ্রে চাদের প্রতিবিম্ব যেমন তরঙ্গে তরঙ্গে ভেঙে অস্পষ্ট হয়ে যায়, জায়ার প্রতিবিম্বও তেমনি মনের তরঙ্গাঘাতে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। সমুত্র নস্তরঙ্গ হয়ে যখন আয়নার মতো শান্ত হয়, তখনই তাতে চাদের পূর্ণ প্রতিবিম্ব আমরা দেখতে পাই ; তেমনি মনের উপাদান চিত্ত যখন সংযমের iারা সম্পূর্ণ শান্ত হয়, তখনই আত্মদর্শন ঘটে। মনের উপাদান চিত্ত শরীর নয়—সুন্নতর জড়বিশেষ, এবং চিরকাল দেহ দ্বারা আৰদ্ধও থাকে না। মাঝে মাঝে আমাদের দেহ-বন্ধন যে শিথিল ইয়ে যায়, তাই এর প্রমাণ। ইন্দ্ৰিয়সমূহ বশে এনে আমরা ইচ্ছামত এই षषशांलांड कब्रत्तांद्र बङTांग कब्राऊ *ांद्रेि । এই অবস্থা সম্পূর্ণ আয়ত্ত হ’লে আমরা সমগ্র জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, ধারণ ইন্দ্রিয়গণ যে-সব বিষয় আমাদের কাছে পৌছে দেয়, সেগুলি নিয়েই তো আমাদের জগৎ । স্বাধীনতাই উচ্চতর জীবনের চিহ্ন। ইঞ্জিয়ের বন্ধন , কে নিজেকে মুক্ত করতে পারলেই আধ্যাত্মিক জীবনের ਬੋ. ༥༨