পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\938 স্বামীজীর বাণী ও রচনা যদি মন হয়, আর ইহা যদি সত্য হয় যে, প্রত্যেক ব্যক্তির মন সেই অনস্ত শক্তিপ্রকাশের এক একটি বিশেষ প্রণালীমাত্র, তবে এইরূপ প্রত্যেক প্রণালীব বাহির হইতে যথেচ্ছ শক্তি সংগ্ৰহ করিবার কোন সীমা নিদিষ্ট থাকিতে পাপে না । সুতরাং আমরা চিরকাল এই শরীরকে রাখিতে পারিব না কেন ? যত শরীর আমরা ধারণ করি, সব অামাদিগকেই গঠন করিতে হয় । যখনই এই শরীরের পতন হইবে, তখন আবার আমাদিগকেই আর একটি শরীর গঠন করিতে হইবে। যদি আমাদের এই ক্ষমতা থাকে, তবে এই শরীর হইতে বাহিরে না গিয়া আমরা এখানেই এবং এখনই সেই গঠনকার্য করিতে পারিব না কেন ? তত্বের দিক দিয়া ইহা সম্পূর্ণ সত্য। ইহা যদি সম্ভব হয় যে, আমরা মৃত্যুর পরও (কোন একভাবে ) জীবিত থাকি, এবং নিজ নিজ শরীর গঠন করি, তবে শরীরকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করিয়া কেবল উহাকে ক্রমশঃ পরিবর্তিত করিয়৷ এই পৃথিবীতে (নূতনতর ) শরীর গঠন করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব হইবে কেন ? তাহীদের আরও বিশ্বাস ছিল যে, পারদে ও গন্ধকে অত্যদ্ভুত শক্তি লুকায়িত আছে। এই দ্রব্যগুলি হইতে প্রস্তুত কোন বিশেষ রসায়ন’ দ্বারা মানুষ যতদিন ইচ্ছ। শরীরকে অবিকৃত রাখিতে পারে। অপর কেহ বিশ্বাস করিত যে, ঔষধবিশেষের সেবনে আকাশ-গমনাদি সিদ্ধি-লাভ হইতে পারে। আজকালকার অধিকাংশ আশ্চর্য ঔষধই, বিশেষত: ঔষধে ধাতুর ব্যবহার আমরা এই রসায়নবিদ্যা হইতেই পাইয়াছি। কোন কোন যোগিসম্প্রদায় দাবি করেন, তাহীদের প্রধান প্রধান গুরুরা অনেকে এখনও র্তাহাঙ্গের পুরাতন শরীরেই বিদ্যমান আছেন। যোগসম্বন্ধে শ্রেষ্ঠ প্রমাণভূত ( যাহার প্রামাণ্য অকাট্য, সেই ) পতঞ্জলিও ইহা অস্বীকার করেন না । মন্ত্রশক্তি ঃ মন্ত্ৰ-নামক কতকগুলি পবিত্র শব্দ আছে ; নির্দিষ্ট নিয়মে উচ্চারণ করিলে এগুলি হইতে আশ্চর্য শক্তিলাভ হইয়া থাকে। আমরা দিনরাত অদ্ভূত ঘটনারাশির মধ্যে বাস করি, সেগুলির বিষয় কিছু চিন্তা ও করি না। মাছুষের শক্তি, শব্দের শক্তি ও মনের শক্তির কোন সীমা নাই । তপস্তা : তোমরা দেখিবে, প্রত্যেক ধর্মেই তপস্যা ও কৃচ্ছসাধন আছে । ধর্মের এই-দিকটিতে হিন্দুরাই সর্বদা চরম সীমায় গিয়া থাকেন । দেখিবে - এমন অনেকে আছে, যাহার। সারা জীবন উর্ধ্বে হাত তুলিয়। রাখে, যে পর্যন্ত না উহ! শুকাইয়। অবশ হইয়া যায়। অনেকে দিবারাত্র দাড়াইয় থাকে,