পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধর্ম · 崎 苓 hাধুনিক বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তের নূতনতর আলোকে আরও জোরালো ভাষায় চারিত হইবার উপক্রম দেখিয় তাহার হৃদয়ে আননের সঞ্চার হইতেছে । } এখন দর্শনের উচ্চ শিখর হইতে অবরোহণ করিয়া অজ্ঞলোকদের ধর্ম iম্বন্ধে আলোচনা করি। প্রথমেই বলিয়া রাখি যে, ভারতবর্ষে বহু-ঈশ্বরবাদ ই। প্রতি দেবালয়ের পার্থে দাড়াইয়। যদি কেহ শ্রবণ করে, তাহা হইলে নিতে পাইবে পূজক দেববিগ্রহে ঈশ্বরের সমুদয় গুণ, এমন কি সর্বব্যাপিত্ত্ব র্যস্ত আরোপ করিতেছে। ইহা বহু-ঈশ্বরবাদ নয়, বা ইহাকে কোন বে-বিশেষের প্রাধান্তবাদ বলিলেও প্রকৃত ব্যাপার ব্যাখ্যাত হুইবে মা । গালাপকে যে-কোন অন্ত নামই দাও না কেন, তাহার স্বগন্ধ সমানই }াকিবে । সংজ্ঞা বা নাম দিলেই ব্যাখ্যা করা হয় না। মনে পড়ে, বাল্যকালে একদা এক খ্ৰীষ্টান পাস্ত্রীকে ভারতে এক ভিডের ধ্যে বক্তৃতা করিতে শুনিয়াছিলাম। নানাবিধ মধুর কথা বলিতে বলিতেতিনি বলিয়া উঠিলেন, “আমি যদি তোমাদের বিগ্রহ-পুতুলকে এই লাঠি দ্বারা মাঘাত করি, তবে উহা আমার কি করিতে পালে ?’ জনতার মধ্য হইতে কজন খলিল, “আমি যদি তোমাব ভগবামকে গালাগালি দিই, তিনিই আমার কি করিতে পারেন ? পাত্রী উত্তর দিলেন, ‘মৃত্যুর পর তোমার স্তি হইবে। সেই ব্যক্তিও বলিল, “তুমি মরিলে পব আমার দেবতাও তামাকে শাস্তি দিবেন।” ফলেই বৃক্ষের পরিচয় । যখন দেখি যে, র্যাহাদিগকে পৌত্তলিক বলা হয়, হীদের মধ্যে এমন মানুষ আছেন, যাহাঁদের মতো নীতিজ্ঞান, আধ্যাত্মিকতা প্রেম কখনও কোথাও দেখি নাই, তখন মনে এই প্রশ্ন উদিত হয় : পাপ ইতে কি কখন পবিত্রতা জন্মিতে পারে ? কুসংস্কার মানুষের শত্রু বটে, কিন্তু ধর্মান্ধতা আরও খারাপ ৷ খ্ৰীষ্টানরা কন গির্জায় যান ? কুশই বা এত পবিত্র কেন ? প্রার্থনার সময় কেন কাশের দিকে তাকানো হয় ? ক্যাথলিকদের গির্জায় এত মূর্তি রহিয়াছে ? প্রোটেস্টান্টদের মনে প্রার্থনাকালে এত ভাবময় রূপের আবির্ভাব কেন ? হে আমার ভ্রাতৃবৃন্দ, নিঃশ্বাস গ্রহণ না করিয়া জীবন}রণ করা যেমন অসম্ভব, চিন্তাকালে মনোময় রূপ-বিশেষের সাহায্য ন।