পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

x ० रै স্বামীজীর বাণী ও রচনা ঠেলেঠলে ফাতনাটাকে তো দূরে ফেললেন ; আর আমরা উদগ্রীব হয়ে, পায়ের ডগায় দাড়িয়ে বারান্দায় ঝুকে, ঐ আসে ঐ আসে—শ্ৰীহাঙ্গরের জন্য ‘সচকিতনয়নং পশুতি তব পন্থানং’ হয়ে রইলাম ; এবং যার জন্যে মানুষ ঐ প্রকার ধড়ফড় করে, সে চিরকাল ষা করে, তাই হ’তে লাগলো—অর্থাৎ সখি শু্যাম না এলো’। কিন্তু সকল দুঃখেরই একটা পার আছে । তখন সহস} জাহাজ হতে প্রায় দুশ হাত দূরে, বৃহৎ ভিস্তির মশকের আকারকি একটা ভেসে উঠল ; সঙ্গে সঙ্গে, ঐ হাঙ্গর, ঐ হাঙ্গর রব। 'চুপচাপ—ছেলের দল ! হাঙ্গর পালাবে। বলি, ওহে! সাদা টুপিগুলো একবার নাবাও না, হাঙ্গরটা যে ভড়কে যাবে’—ইত্যাকার আওয়াজ যখন কর্ণকুহরে প্রবেশ করছে, তাবৎ সেই হাঙ্গর লবণসমূদ্রজন্ম, বড়শিসংলগ্ন শোরের মাংসের তালটি উদরাগ্নিতে ভস্মাবশেষ করবার জন্যে, পালভরে নৌকোর মতো সো করে সামনে এসে পড়লেন। আর পাচ হাত—এইবার হাঙ্গরের মুখ টোপে ঠেকেছে। সে ভীম পুচ্ছ একটু হেললো—সোজা গতি চক্রাকারে পরিণত হ’ল। যাঃ, হাঙ্গর চলে গেল যে হে! আবার পুচ্ছ একটু বাকলে, আর সেই প্রকাও শরীর ঘুরে, বড়শিমুখে দাড়ালো। আবার সে ক’রে আসছে—ঐ ই ক’রে বড়শি ধরে ধরে ! আবার সেই পাপ লেজ ন’ড়ল, আর হাঙ্গর শরীর ঘুরিয়ে দূরে চলল। আবার ঐ চক্র দিয়ে আসছে, আবার হা করছে ; ঐ—টোপট মুখে নিয়েছে, এইবার—ঐ ঐ চিতিয়ে পড়ল ; হয়েছে, টোপ খেয়েছে— টান টান টান, ৪০৫০ জনে টান, প্রাণপণে টান। কি জোর মাছের ! কি ঝটপট—কি হা। টান টান। জল থেকে এই উঠল, ঐ যে জলে ঘুরছে, আবার চিতুচ্চে, টান টান। যাঃ, টোপ খুলে গেল! হাঙ্গর পালালো। তাই তো হে, তোমাদের কি তাড়াতাড়ি বাপু ! একটু সময় দিলে না টোপ খেতে ! , যেই চিতিয়েছে অমনি কি টানতে হয় ? আর—‘গতস্ত শোচনা নাস্তি’ ; হাঙ্গর তো বড়শি ছাড়িয়ে চোচা দৌড়। আড়কাট মাছকে উপযুক্ত শিক্ষা দিলে কিনা তা খবর পাইনি, মোদা—হাঙ্গর তো চোচা । আবার সেট{ ছিল বাধা-বাঘের মত কালো কালো ডোরা কাটা । যা হোক ‘বাঘ’ বড়শি-সন্নিধি পরিত্যাগ করবার জন্য, স-‘আড়কাট’-‘রক্তচোষা অন্তর্দধে । কিন্তু নেহাত হতাশ হবার প্রয়োজন নেই—ঐ যে পলায়মান ‘বাঘার” গা ঘেষে আর একটা প্রকাও থ্যাবড়ামুখে চলে আসছে! আহা হাঙ্গরদের