পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ›ፄጭ মতো খাওয়া উচিত, অর্থাৎ ডালের ঝোলমাত্র, বাকিটা গরুকে দিও। মাংস খাবার পয়সা থাকে, খণও ; তবে ও পশ্চিমি নানাপ্রকার গরম মসলাগুলো বাদ দিয়ে । মসলাগুলো খাওয়া নয়—ওগুলো অভ্যাসের দোষ । ডাল অতি পুষ্টিকর খাদ্য, তবে বড়ই দুষ্পাচ্য। কচি কলাইণ্ডটির ডাল অতি স্থপাচ্য এবং স্থস্বাদ ; প্যারিস রাজধানীর ঐ সুপ একটি বিখ্যাত খাওয়া । কচি কলাইণ্ডটি খুব সিদ্ধ করে, তারপর তাকে পিষে জলের সঙ্গে মিশিয়ে ফেল । তারপর একটা দুধৰ্ছাকনির মতো তারের ছাকনিতে ছাকলেই খোসাগুলো বেরিয়ে আসবে। এখন হলুদ ধনে জিরে মরিচ লঙ্কা, যা দেবার দিয়ে সাতলে নাও— উত্তম স্বস্বাদ সুপাচ্য ডাল হ’ল। যদি একটা পাঠার মুড়ি বা মাছের মুড়ি তার সঙ্গে থাকে তো উপাদেয় হয় । ঐ যে এত প্রলাবের রোগের ধুম দেশে, ওর অধিকাংশই অজীর্ণ, দু-চার জনের মাথা ঘামিয়ে, বাকি সব বদহজম। পেটে পুরলেই কি খাওয়া হ’ল ? যেটুকু হজম হবে, সেইটুকুই খাওয়া . ভুড়ি নাবা বদহজমের প্রথম চিহ্ন । শুকিয়ে যাওয়া বা মোটা হওয়া দুটোই বদহজম ৷ পায়ের মাংস লোহার মতো শক্ত হওয়া চাই । ‘প্রস্রাবে চিনি বা আলবুমেন (Albumen ) দেখা দিয়েছে বলেই ‘ই’ ক’রে বসো না । ও-সব আমাদের দেশের কিছুই নয় } ও গ্রাহের মধ্যেই এনে না । খাওয়ার দিকে খুব নজর দাও, অজীর্ণ না হ’তে পায়। ফাকা হাওয়ায় যতক্ষণ সম্ভব থাকবে । খুব ইটো আর পরিশ্রম কর । যেমন ক’রে পারে ছুটি নাও, আর বদরিকাশ্রম তীর্থযাত্রা কর । হরিদ্বার থেকে পায়ে হেঁটে ১০০ ক্রোশ ঠেলে পাহাড় চড়াই ক’রে বদরিকাশ্রম যাওয়া-আসা একবার হলেই ও প্রস্রাবের ব্যারাম-ফ্যারাম ভূত ভাগবে } ডাক্তার ফাত্তার কাছে আসতে দিও না, ওরা অধিকাংশ–“ভাল ক’রতে পারব ন, মন্দ করব, কি দিবি তা বল। পারতপক্ষে ওষুধ খেও না। রোগে যদি এক আনা মরে, ওষুধে মরে পনের আনা ! পারো যদি প্রতি বৎসর পূজার বন্ধের সময় হেঁটে দেশে ৰাও। ধন [ ধনী ] হওয়া, আর কুড়েৰু বাদশা হওয়া—দেশে এক কথা হয়ে দাড়িয়েছে। যাকে ধীরে হাটাতে হয়, খাওয়াতে হয়, সেটা তো জীবস্ত রোগী, সেটা তে হতভাগা । যেটা লুচির ফুলকো ছিড়ে খাচ্ছে, সেটা তো মরে অাছে। যে একদমে দশক্রোশ হাটতে পারে না, সেট। মানুষ, না কেঁচো ? সেধে রোগ অকালমৃত্যু ডেকে আনলে কে কি করবে ? به جا سوي