পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ఫి ది హె ইউরোপী সভ্যতা নামক বস্ত্রের এই সব হ’ল উপকরণ। এর তাত হচ্ছে— এক নাতিশীতোষ্ণ পাহাড়ী সমুদ্রতটময় প্রদেশ ; এর তুলো হচ্চে—সর্বদা যুদ্ধপ্রিয় বলিষ্ঠ নানা-জাতের মিশ্রণে এক মহা খিচুড়ি-জাত। এর টানা হচ্ছে— যুদ্ধ, আত্মরক্ষার জন্য, ধর্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ। যে তলওয়ার চালাতে পারে, সে হয় বড় ; যে তলওয়ার না ধরতে পারে, সে স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে কোন বীরের তলওয়ারের ছায়ায় বাস করে, জীবনধারণ করে । এর পোড়েন— বাণিজ্য। এ সভ্যতার উপায় তলওয়ার, সহায় বীরত্ব, উদ্দেশ্য ইহ-পারলৌকিক ভোগ । আমাদের কথাটা কি ? আর্যরা শান্তিপ্রিয়, চাষবাস ক’রে, শস্যাদি উৎপন্ন ক’রে শাস্তিতে স্ত্রী-পরিবার পালন করতে পেলেই খুশী । তাতে ইপি ছাড়বার অবকাশ যথেষ্ট ; কাজেই চিন্তাশীলতার, সভ্য হবার অবকাশ অধিক । আমাদের জনক রাজা স্বহস্তে লাঙ্গল চালাচ্ছেন এবং সে-কালের সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মবিৎও তিনি। ঋষি, মুনি, যোগীর অভু্যদয়—গোড়া থেকে ; তারা প্রথম হতেই জেনেছেন যে, সংসারটা ধোকা, লড়াই কর আর লুঠই কর, ভোগ ব’লে যা খুজিছ তা আছে শাস্তিতে ; শান্তি আছেন শারীরিক ভোগ-বিসর্জনে ; ভোগ আছেন মননশীলতায়, বুদ্ধিচর্চায় ; শরীরচর্চায় নেই। জঙ্গল আগবাদ করা তাদের কাজ। তারপর, প্রথমে সে পরিষ্কৃত ভূমিতে নির্মিত হ’ল যজ্ঞবেদী, উঠল সে নির্মল আকাশে যজ্ঞের ধূম, সে বায়ুতে বেদমন্ত্র প্রতিধ্বনিত হ’তে লাগলো, গবাদি পশু নি:শঙ্কে চরতে লাগলো। বিদ্যা ও ধর্মের পায়ের নীচে তলওয়ার রইল। তার একমাত্র কাজ ধৰ্মরক্ষণ করা, মাহুষ ও গবাদি পশুর পরিত্রাণ করা, বীরের নাম আপং-ত্ৰাত ক্ষত্ৰিয় । লাঙ্গল, তলওয়ার সকলের অধিপতি রক্ষক রইলেন ধর্ম। তিনি রাজার রাজা, জগৎ নিদ্রিত হলেও তিনি সদা জাগরুক। ধর্মের আশ্রয়ে সকলে রইল স্বাধীন। ঐ যে ইউরোপী পণ্ডিত বলছেন যে, আর্যেরা কোথা হতে উড়ে এসে ভারতের “বুনো’দের মেরে-কেটে জমি ছিনিয়ে নিয়ে বাস করলেন—ও-সব আহাম্মকের কথা। আমাদের পণ্ডিতরাও দেখছি সে গোয়ে গো— আবার ঐ সব বিরূপ মিথ্যা ছেলেপুলেদের শোনানো হচ্ছে। এ অতি . অন্যায় । 8 لا سيا