পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা ૨૨ છે দূর । অতএব ভাষা সম্বন্ধেও এ প্রকার প্রতিবাদের উত্তরপ্রদান আমরা অনাবশ্বক বিবেচনা করিলাম এবং পাঠকের নিজ নিজ বিচারবুদ্ধিই এস্থলে মীমাংসক রহিল। পরিশেষে ব্রাহ্মণাদি উচ্চ বর্ণের উপর স্বামীজীর কিছু বিশেষ কটাক্ষ আছে বলিয়া যে প্রতিবাদ-ধ্বনি ‘বর্তমান ভারতের প্রথমবির্ভাবে উঠিয়াছিল, সে বিষয়েও স্বপক্ষে বা বিপক্ষে কোন কথা না বলিয়া পাঠকের সত্যাহরাগ এবং স্পষ্টবাদিতার উপরেই আমরা নির্ভর করিলাম। সহস্র প্রতিবাদেও সত্যের অপলাপ বা অসত্যের প্রতিষ্ঠা হয় না এবং ‘মন মুখ এক করাই সত্যলাভের প্রধান সাধন, ইহা যেন আমরা নিত্য মনে রাখিতে পারি। নিন্দার কটু কশাঘাতে অভিজাত ব্যক্তির হৃদয়ে আত্মানুসন্ধান এবং সংশোধনেচ্ছাই বলবতী হয়, কিন্তু ইতর ব্যক্তির হৃদয় ঐ আঘাতে জঘন্য অসত্য, হিংসা, সত্যগোপন প্রভৃতি কুপ্রবৃত্তির আশ্রয় গ্রহণ করিয়া অবনতির পথে দ্রুতপদসঞ্চারে অগ্রসর হয় । e এখানে ভারতের মহাকবির কথা আমাদের মনে উদয় হইতেছে, যথা : 'অলোকসামান্তমচিন্ত্যহেতুকং নিন্দস্তি মন্দাশ্চরিতং মহাত্মনাম।” ১লা জ্যৈষ্ঠ অলমিতি— > \రి : " সারদানন্দ